ওষুধে ভজোল; কী বলে ইসলাম
মুফতী নাজমুল ইসলাম
চকিৎিসাশাস্ত্রে অনয়িম অনকেদনি থকেইে আমাদরে জাতীয় সমস্যা! চকিৎিসার নামে জালয়িাত,ি ভুল চকিৎিসায় রোগীর অঙ্গহানি কংিবা মৃত্যু; দশে আর দশরে খবর যারা রাখনে তাদরে কাছে এসব প্রায় নয়িমতি খবর! নম্নিমানরে বা নকল ওষুধ তো আছইে; অঙ্গহানি ও প্রাণনাশক ওষুধ র্পযন্ত সরবরাহ করা হচ্ছে অর্হনশি! সাথে যোগ হয়ছেে কমশিনলোভী কছিু চকিৎিসকরে অপ্রয়োজনীয় ও অহতেুক ব্যবস্থাপত্র। সব মলিয়িে বলা যায় দশেরে চকিৎিসা ব্যবস্থায় চলছে চরম র্দুদশা ও সীমাহীন নরৈাজ্য! স্বভাবতই এখন প্রশ্ন দাঁড়ায় এ অবস্থা থকেে উত্তরণরে উপায় কী তাহল?ে বলা বাহুল্য, সু-নর্দিষ্টি ও কঠোর আইনরে অনুপস্থতিি এবং আইন প্রয়োগে গাফলিতি এক্ষত্রেে দায় এড়াতে পারবে না ঠকি, কন্তিু এর কোনট’িই চুড়ান্ত সমাধান নয়। বর্পিযস্ত এই পরস্থিতিি থকেে বরেয়িে আসতে হলে র্সবাগ্রে যা চাই, তা হল- নতৈকিতার তালমি ও জবাবদহিতিার শক্ষিা।
যহেতেু ইসলাম মানুষরে মৌলকি অধকিার রক্ষায় সচষ্টে তাই চকিৎিসাশাস্ত্ররে নীতমিালাগুলোও ইসলাম এতো সুন্দরভাবে র্বণনা করে দয়িছে,ে যে কারো জন্য তা র্সবােত্তম গাইডলাইন হসিবেে যথষ্টে। র্সবপ্রথম তো ইসলাম মানবদহেরে জন্য ক্ষতকির বস্তু থকেে দূরে থাকার নর্দিশে ——–দয়িে ঘোষণা করছে ‘আর তনিি তোমাদরে জন্য নষিধে করছনে ক্ষতকির জনিসিসমূহ’ ( সুরা আ’রাফ ১৫৭) তারপরও কউে রোগাক্রান্ত হয়ে গলেে নরিাশ না হয়ে ইসলাম তাকে ওষুধ গ্রহণরে তালমি দচ্ছি।ে হাদসি শরীফে এসছেে হুজুর (সা) বলনে, ‘প্রতটিি রোগরে জন্যই আল্লাহ তা’য়ালা প্রতষিধেকরে ব্যবস্থা করে রখেছেনে’ (বুখারী ৫৬৭৮)
মুসলমি ও অন্যান্য কতিাবে এই অংশটুকুও র্বধতি হয়ছেে ‘প্রতষিধেকরে সঠকি প্রয়োগ হলে রোগ সরেে যাব’ে। অতঃপর মৌলকি এই অধকিাররে ক্ষত্রেে কউে যনে প্রতারতি না হয় সে জন্য ইসলাম এ সংক্রান্ত বস্তিারতি সর্তকীকরণ জারি করছে।ে ওষুধ তো বটইে সব ধরণরে ভজোলকে নষিধে করতঃ আল-কুরআনে ঘোষতি হচ্ছে ‘তোমরা লোকদরে ঠকওি না’ (সুরা হুদ ৮৫) হাদসিে এসছেে ‘প্রতারক আমাদরে (মুসলমানদরে) দলভুক্তই না’ (মুসলমি ১৬৪) ভজোল ওষুধরে কারণে অঙ্গহানি বা প্রাণনাশ হয়ে গলেে সুরা মায়দোর ৬৫ নং (কসিাস সংক্রান্ত) আয়াত অনুযায়ী বদলা নওেয়া হব।ে চকিৎিসকরে ত্রুটরি কারণওে যনে রোগীর হাতে কোন ভজোল ওষুধ না যায় সে জন্য হানাফি মাযহাবরে প্রসদ্ধি কতিাব আদ্দুররুল মুখতারে হাতুড়ে ডাক্তারদরে র্কাযক্রমই বন্ধ করে দতিে বলা হয়ছেে (৬/৬৮) ফতওয়ায়ে শামীসহ বশে কছিু কতিাবে এই হুকুমটি সবস্তিারে উল্লখিতি হয়ছে।ে মুফতী রশীদ আহমাদ লখিতি আহসানুল ফাতাওয়ার ভাষ্যটি এক্ষত্রেে বষিশেভাবে প্রণধিানযোগ্য; তনিি বষিয়টকিে এভাবে ব্যাখ্যা করছেনে, ডাক্তার দুই ধরনরে। এক. বজ্ঞি ডাক্তার দুই. অনভজ্ঞি হাতুড়ে ডাক্তার। কোনো বজ্ঞি ডাক্তার যদি রোগীর সম্মততিে চকিৎিসার সব নয়িম মনেে চকিৎিসা করনে, অস্ত্রোপচার করনে তদুপরি র্দুঘটনাক্রমে রোগীর মৃত্যু-অঙ্গহানি বা অন্য কোনো ক্ষতি হয়ে যায় তাহলে তাতে ডাক্তার দায়ী হবনে না। তার ওপর কোনো জরমিানা র্বতাবে না। বজ্ঞি ডাক্তার যদি রোগীর অনুমতি ছাড়াই চকিৎিসা বা অস্ত্রোপচার করনে এবং চকিৎিসা শাস্ত্রীয় নয়িম-নীতবিহর্ভিূত হয় আর তাতে রোগী মরা যান তাহলে চকিৎিসকরে ওপর দয়িাত-রক্তপণ র্বতাব।ে কোনো অঙ্গাহানি হলে শরয়িত নর্ধিারতি জরমিানা (আরশ-অঙ্গোরপণ) র্বতাব।ে চকিৎিসা যদি কছিু নয়িম মনেে হয় আর কছিু নয়িমবহর্ভিূত হয় এবং তাতে রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে র্অধকে দয়িাত (রক্তপণ) র্বতাব।ে
আর অঙ্গহানি হলে শরয়িত নর্ধিারতি র্পূণ জারমিানা (আরশ-অঙ্গোরপণ) র্বতাব।ে অনভজ্ঞি হাতুড়ে ডাক্তাররে সঠকি বা ভুল চকিৎিসায় যে কোনোভাবইে রোগীর মৃত্যু হলে ডাক্তাররে ওপর র্পূণ দয়িাত (রক্তপণ) র্বতাব।ে অঙ্গহানি হলে অঙ্গরে র্পূণ জরমিানাই র্বতাব।ে ডাক্তার যদি নজি হাতে অস্ত্রোপচার করনে, ইনজকেশন বা স্যালাইন পুশ করনে বা ওষুধ নজি হাতে খাইয়ে দনে তাহলে সে ক্ষত্রেইে কবেল উপরোক্ত বধিান প্রযোজ্য। চকিৎিসক যদি কবেলই ওষুধ লখিে দনে বা বলে দনে র্অথাৎ ব্যবস্থাপত্র দনে এর বশেি কছিু না করনে আর সে ওষুধ সবেন বা ব্যবহার করে রোগী মারা যায় বা অঙ্গহানি হয় তাহলে সে ক্ষত্রেে উপরোক্ত বধিান প্রযোজ্য নয়। তবে বচিারক সে ক্ষত্রেে কোনো যৌক্তকি শাস্তি দতিে পারনে। (আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৫১৭-১৮, শামী ৯/২১৪, আলমগীরি ৫/৫৪, মাজমাউল আনহুর ৪/৫৬)। ক্ষতরি কারণ যদি চকিৎিসক না হয়ে অন্য কউে হয় যে ওষুধে ক্ষতকির বস্তু মশিয়িে বা কোন কোম্পানি হয় যারা ভজোল ওষুধ তরৈী করে তাহলে ক্ষতপিূরণও তাদরে থকেইে নওেয়া হব।ে মোটকথা, ইসলাম ওষুধরে মতো গুরুত্বর্পূণ ক্ষত্রেটকিে নর্ভিজোল রাখতে রাখতে র্সবােচ্চ কঠোর আইন প্রয়োগরে পাশাপাশি নতৈকিতা শক্ষিা দয়িে আমাদরে জবাবদহিতিার চন্তিা সামনে রখেে সঠকি ও সৎ পন্থা অবলম্বনরে নর্দিশে দয়িছে।ে