মহাসড়ক ঘিরে জঙ্গিদের নাশকতার ছক
আহমেদ সুমন : দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি অভিযান অব্যাহত রাখার ফলে জঙ্গিরা শহর ছেড়ে জেলা-উপজেলার মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নিচ্ছে এবং নাশকতার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জঙ্গিদের মহাসড়ক সংলগ্ন এলাকায় আশ্রয় নেয়ার অর্থ হচ্ছে তারা মহাসড়ক কেন্দ্রিক নাশকতার ছকও কষছে।
সম্প্রতি কুমিল্লায় পুলিশের ওপর হামলার চেষ্টাকালে দুই জঙ্গি আটক করে পুলিশ। এরপর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তাদেরই সহযোগিদের একটি আস্তানার সন্ধান পায়। এতে জঙ্গিদের নাশকতা রূপ পাল্টাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৩-১৪ সালে জঙ্গিদের নাশকতার মূল লক্ষ্য ছিলো ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকু–মীরসরাই এলাকা। টানা অবরোধ হরতালের সময় এই এলাকায় পণ্যবোঝাই ট্রাকে এবং যাত্রীবাহী বাসে একের পর এক আগুন দেয়া হয়। দফায় দফায় উপড়ানো হয় রেল লাইন। অবস্থা সমাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
বুধবার মীরসরাইয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একেবারে পাশ ঘেঁষে জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হয় হাতবোমা, চাপাতি, এক্সপ্লোসিভ জেলসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। দেশজুড়ে জঙ্গি বিরোধী সাড়াশি অভিযানের মধ্যেও উপজেলায় পর্যায়ের এ ধরনের আস্তানার খবর ভাবাচ্ছে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদেরকেও। এটি এক ধরণের অশনি সংকেত বলছেন তারা। মীরসরাইয়ের জঙ্গি আস্তানাটি ছিল মহাসড়কের একবারে পাশেই। এর আগেও নাশকতায় জড়িতরা এই এলাকায় অবস্থান নিয়ে মহাসড়কে তান্ডব চালাতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
আবারও মহাসড়ক কেন্দ্রিক নাশকতায় পরিকল্পনার বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে তাদের পূর্ণ প্রস্তুতির কথাও মনে করিয়ে দেন তারা। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, গোয়েন্দা তৎপরতার পাশপাশি জঙ্গি বিরোধী সামাজিক সচেতনতা না বাড়ালে এমন নাশকতা ঠেকানো হবে কঠিন। সম্পাদনা: এনামুল হক