সৌদি আরব ও ইরানের সমস্যার সমাধান চায় চীন
কামরুল আহসান : সৌদি বাদশাহ সালমান মাসব্যাপী এশিয়া সফরে রয়েছেন। এর মধ্যে তিনি মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন। এখন তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে অবসর যাপনে আছেন। সেখান থেকে যাবেন চীনে। কবে যাবেন তা অবশ্য ঠিক হয়নি এখনো। এর মধ্যে তার ব্রুনাই ও মালদ্বীপ যাওয়ার কথা।
চীন তার আসার পথ চেয়ে আছে। বাদশা সালমান এখনো দিন-তারিখ জানননি। তবে ভাগ্যক্রমে তা হতে পারে আগামী বুধবার চীনের বার্ষিক সংসদীয় অধিবেশনের সময়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং জি জানিয়েছেন, বাদশাহ সালমানের সঙ্গে তারা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান নিয়ে আলাপ করবেন।
ওয়াং জি বলেছেন, চীন ইরান ও সৌদি উভয়েরই বন্ধু। তারা যদি চায় তাহলে চীন সৌদি ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে কথা বলবে। যদিও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি আরব যখন যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল তখন ইরানের পক্ষ হয়ে চীন তাদের সমর্থন দিয়েছিল।
তাতে মনে হতে পারে চীন বোধ হয় ইরানের প্রতিই বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ। আসলে তা নয়, চীন সৌদিরও মিত্র। গত বছরের জানুয়ারি মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যখন মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণে গিয়েছিলেন তখন ইরান ও সৌদি আরব উভয় দেশেই বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে গিয়েছিলেন।
সবরকম শত্রুতা ঘুঁচিয়ে চীন চায় এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে। বাদশাহ সালমানও এ লক্ষ্যেই তার এশিয়া সফর শুরু করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সবার আগে আমেরিকা’ নীতির বিরুদ্ধে এশিয়া রাষ্ট্রগুলোও এখন নিজেদের মধ্যে একত্মতা ঘোষণা করে ‘সবার আগে এশিয়া’ নীতি প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। আর বলাই বাহুল্য, এর নেতৃত্ব দিতে চাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ এবং এশিয়ার প্রধানতম অর্থনৈতিক শক্তি চীন। গালফ নিউজ অবলম্বনে, সম্পাদনা: রবিউল্লাহ