প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে বর্ণিল সাজে লক্ষ্মীপুর
জহিরুল ইসলাম শিবলু,লক্ষ্মীপুর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে প্রত লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাসহ জন-সাধারণ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঘোটা লক্ষ্মীপুর। শত-শত তোরণ, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর আলোকসজ্জ্বায় বর্ণিল করে সাজানো হয়েছে লক্ষ্মীপুরের প্রতিটি রাস্তা-ঘাটকে। আগামী ১৪ মার্চ মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্মীপুর সফর করবেন এ সময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্র¯’র স্থাপন করবেন। ওই দিন বিকেল তিনটায় লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জেলা ষ্টেডিয়াম মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন।
এ উপলক্ষে ঘোটা জেলাকে নববধুর রূপে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এখন শুধু নেত্রীর আগমনের অপেক্ষায় দলীয় নেতা-কর্মীসহ লক্ষ্মীপুরের আপামর জন-সাধারণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন ও জনসভাকে সফল ও সার্থক করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের প্রচার-প্রচারণা এখন তুঙ্গে। প্রধানমমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ছে। দলীয় সভানেত্রীকে বরণ করে নিতে নেতাকর্মীরা একের পর এক প্র¯‘তি সভা করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিদেশের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে রাষ্ট্রীয় ও সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলায় যেতে হয় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি তৃণমুলে গিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। দেশের সার্বিক অবস্থ, মানুষের জীবনযাত্রা স্বচক্ষে দেখতে চান তিনি। সে বিবেচনায় এবার লক্ষ্মীপুর সফর করছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাকে শুভেচ্ছ জানাতে গণভবনে যান। ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছ বিনিময়কালে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রধানমন্ত্রীকে জানান, সংগঠনের কাজে তিনি লক্ষ্মীপুর গিয়েছিলেন। লক্ষ্মীপুরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে চান। প্রধানমন্ত্রী অনেকদিন লক্ষ্মীপুরে না যাওয়ার বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। সে হিসেবে লক্ষ্মীপুরবাসীর আকাঙ্খায় সাড়া দিয়ে লক্ষ্মীপুর সফরের সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন আগামী ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্মীপুর আগমন সম্পর্কে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা করে জানান, জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত দলীয় জনসভায় সরকারের সফলতা অর্জন ও রাজনৈতিক বক্তব্য এবং জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর এই সফর। প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটে নৌ-বন্দর ও লক্ষ্মীপুর মেডিকেল কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপ করবেন এবং নবনির্মিত লক্ষ্মীপুর পৌর মার্কেট ও লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন উদ্বোধন করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে চন্দ্রগঞ্জ থানাকে উপজেলায় বাস্তবায়ন, রেল লাইন স্থাপনসহ জেলার বিভিন্ন উন্নয়নের দাবি উপস্থাপন করা হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বে”ছাসেবকলীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রস্তুতিমূলক সভা করে যাচ্ছে জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্মীপুর সফর উপলক্ষ্যে জনসভার মাঠ পরিদর্শন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় আরো গুরুত্বপুর্ণ নেতা ও মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর জনসভার মাঠ পরিদর্শন করবেন। লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিঞা গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন আমাদের অর্থনীতিকে জানান, দীর্ঘ ২০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মীসহ জেলাবাসীর মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও আনন্দের জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। আগামী ১৪ মার্চের প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছে দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সফল করতে জেলার সবস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান