ভীষণ ভালো লাগছে, খুব খুশি হয়েছি
শাওন মাহমুদ
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে বা থেকে আন্দোলনসংগ্রাম করে আসছি। আমাদের একটাই চাওয়া ছিল গণহত্যার দিনটিকে যেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হয়। আমাদের দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। এবং ইতোমধ্যে তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলেছে। সরকারকে এ জন্য ধন্যবাদ। ভীষণ ভালো লাগছে, খুব খুশি হয়েছি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও এগিয়ে নিবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। ২৫ মার্চ কালোরাত্র তো একটা আঁধার ঘেরা বিভীষিকার নাম, তাই না? সেদিন নিরস্ত্র বাঙালিদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। সেই কালো রাত্রিটা যেন শোকাবহ ও কৃতজ্ঞতার পরিবেশে পালন করি আমরা। ২৫ মার্চ যেন উৎসব, উদ্যাপনে পরিণত না হয়। সবার প্রতি এ আমার অনুরোধ। শহীদদের যথাযথ সম্মান আমাদের প্রদর্শন করতেই হবে। কারণ তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীন এই ভূখ-। তার মর্যাদা আমাদেরই রাখতে হবে।
রুয়ান্ডা থেকে শুরু করে অনেক জায়গায় গণহত্যা দিবস আছে। ২৫ মার্চের জেনোসাইড পৃথিবীর পঞ্চমতম ভয়ংকর গণহত্যার ঘটনা। এই গণহত্যার আনুষ্ঠানিক জাতীয় স্বীকৃতি এখন মিলেছে, জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে জনপ্রতিনিধিদের ধারা। আমার মনে হয় আগামীতে ২৫ মার্চের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আমরা পাব। খুব বেশিদিন হয়তো তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না।
পরিচিতি: শহীদ বুদ্ধিজীবী আলতাফ মাহমুদের মেয়ে
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান