আনিসুর রহমান তপন: ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় দেশের নানা জায়গায় অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের পরাজয়ে অনৈক্যকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় এ বিষয়টি তুলে ধরেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানাগেছে এ তথ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানান, দলের অনৈক্যটাকে উদ্বেগজনক (এলার্মিং) উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনৈক্যের কারণেই ঢাকা আইনজীবী সমিতির (ঢাকা বার) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। এসময় দলীয় নেতা-কর্মী সমর্থকদের সব ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনৈক্য থাকায় ঢাকা বারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের মাত্র তিন জন প্রার্থী নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। এতে অন্যান্য ২১টি পদেই সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা পরাজিত হয়। ফলে ভরাডুবি হয় সাদা প্যানেলের। বিপরীতে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থীরা।
একইভাবে আসন্ন ২২ ও ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সব নেতা-কর্মী এক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। মন্ত্রীরা বা দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যাতে নিজ নিজ বক্তব্য সংযত ও সতর্কতার সঙ্গে দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচন প্রসঙ্গে কোনো নেতা যেন কারো পক্ষে বা বিপক্ষে আপত্তিজনক কিছু না বলেন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে সরকার সমর্থক সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক আবদুল মতিন খসরু আর ৯০ এর আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম বুদুকে সাদা প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও চলতি মার্চে নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত তিন উপজেলা সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিলেট নির্বাচন প্রসঙ্গেও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসব উপজেলার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ নেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এসব নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী অংশ না নিলে ফলাফল নিজেদের অনুকূলে আসার সম্ভাবনা ছিল। সম্পাদনা : এনামুল হক