তরিকুল ইসলাম সুমন: অনুমোদনহীন বাটখারা উৎপাদন ও ব্যবহারসহ এবং পণ্যের ওজনে কম দেওয়ার সাজা বাড়িয়ে নতুন আইন করার জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ডস ওজন ও পরিমাপ আইন, ২০১৭’ আইনের খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গতকাল সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম কোর্টের আদেশে ১৯৮২ সালের ‘দ্য স্ট্যান্ডার্ড অব ওয়েট অ্যান্ড মেজার্স অর্ডিন্যান্স’ সংশোধন ও পরিমার্জন করে আন্তর্জাতিকভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে বাংলা ভাষায় আইনটির খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, খসড়া আইনে আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র আর্থিক শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। মানহীন বাটখারা বা পরিমাপক ব্যবহারের শাস্তি অনূর্ধ্ব ছয় মাসের কারাদ-ের সঙ্গে অর্থদ- তিন হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারের অনুমতিক্রমে সম্পূর্ণ রপ্তানির উদ্দেশে তৈরি বা উৎপাদিত কোনো বাটখারা বা পরিমাপক ব্যতীত কোনো পরিমাপক তৈরি করার অপরাধে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদ- বা এক লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আগে ছিল ১০ হাজার টাকা। তবে এই অপরাধে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদ- বহাল থাকছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অনুমতিক্রমে সম্পূর্ণ রপ্তানির উদ্দেশে তৈরি বা উৎপাদিত কোনো ওজন বা পরিমাপক ব্যতীত অন্য কোনো ওজন বা পরিমাপক উৎপাদন করলে উৎপাদনকারীর শাস্তি অনূর্ধ্ব এক বছরের জেল অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। আগে জরিমানার পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার টাকা। যদি কোনো ব্যক্তি সত্যতা ত্রুটি সংশোধন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে রেফারেন্স স্ট্যান্ডার্ড, সেকেন্ডারি স্ট্যান্ডার্ড বা প্রচলতি মানদ- পরিবর্তন বা পরিমিত করে তাহলে সেই ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ে দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। আগে ছিল পাঁচ হাজার টাকা, তবে এই অপরাধে দুই বছরের কারাদ- বহাল রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মান সংস্থাসহ (আইএসও) অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিয়মকানুন এ আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্পাদনা: এনামুল হক