উম্মুল ওয়ারা সুইটি : মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের নামে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা যাবে না। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উচিত, সু-শৃঙ্খলভাবে যাচাই বাছাই করে সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরি করা। এই সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও বিশিষ্টজনরা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সম্মানের পাশাপাশি আর্থিক সুবিধা দিয়েছে। আবার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্যও চাকরি বাকরির সুযোগ দিয়েছে। তাই অনেকে মুক্তিযুদ্ধ না করেও সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করে তালিকাভূক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা সংকোচে সামনে এগিয়ে আসতে পারছে না। তাদের আবার কেউ কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও ইতিহাসবিদ ড. মুনাতাসির মামুন বলেন, ৭১ সালে যারা এক কাপড়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল, তারা কেউ ভাতা বা সন্তানের চাকরির জন্য যুদ্ধে যাননি। তারা বেঁচে ফিরে আসবেন এটা ভাবেননি। কাজেই মুক্তিযোদ্ধাদের এই ত্যাগের কথা সংশ্লিষ্টদের মনে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের তালিকাভূক্ত হওয়া মানে কোনো দান গ্রহণ করা নয়। তালিকা তৈরিতেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে।
মানবাধিকার নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মাহফুজা খানম বলেন, সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর কারণে অনেক নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে। অনেকেই ভয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এখন ভাতা ও অন্যান্য সুবিধার লোভে তালিকাভূক্ত হতে চাচ্ছেন। তাই যারা এই কাজে যুক্ত তাদের জন্যও এটা একটা বড় পরীক্ষা। আমি বলবো, কোন মুক্তিযোদ্ধা যেন তালিকাভূক্তির বাইরে না থাকেন। আমরা চাই এতো বছর পরও যেন মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সম্মানটুকু পান। কারণ সেদিন যারা দেশ স্বাধীন করতে পথে নেমেছিলো, তারা জানে না আর ফিরবে কি না? রণাঙ্গনে নিজেকে দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের চোখে একটা স্বপ্ন ছিলো, স্বাধীন বাংলাদেশ। সম্পাদনা: রাশিদ