সহজেই এসডিসি অর্জন করবে বাংলাদেশ সিপিডির সেমিনারে বক্তারা
জাফর আহমদ: নিয়ম অনুসারে মাথাপিছু আয়, মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা- এ তিনটি সূচকের মধ্যে কমপক্ষে দু’টিতে নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ তিনটিতেই সফলভাবে অর্জন করবে। গতকাল রাজধানীর লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য এলডিজি গ্র্যাজুয়েশন চ্যালেঞ্জ’ সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহানের সভাপতিত্বে সংলাপে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সিপিডির ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ, এফবিসিসিআইর সহ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
বক্তারা বলেন, ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হবে বাংলাদেশ। এজন্য যেসব প্রয়োজনীয় লক্ষ্যগুলো প্রাথমিকভাবে অর্জন করতে হবে, তা ২০১৮ সালের মধ্যেই পারবে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পাঁচ দশক পর বাংলাদেশ কোনোভাবেই গরিব দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারে না। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের বের হয়ে আসা হবে আগের যে কোনো দেশের চেয়ে টেকসই, মসৃণ ও সফলতম ঘটনা।
তারা বলেন, এরপরেই ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে এলডিসি তালিকা থেকে বের হয়ে আসার বিষয়ে অনুমোদন পেতে হবে। তারপরও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এলডিসি হিসেবে যেসব সুবিধা পাওয়া যায়, বাংলাদেশের জন্য ২০২৭ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। সম্পাদনা: তরিকুল ইসলাম সুমন