ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয় আদেশও হাওয়াই আদালতে স্থগিত
এম রবিউল্লাহ: ছয়টি মুসলিম দেশের অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ বিষয়ক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত করে দিয়েছে হাওয়াইয়ের ফেডারেল আদালত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আদেশটির ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন বিচারক। হাওয়াইয়ের ফেডারেল বিচারক ডেরিক ওয়াটসন এই আদেশ দেন।
আদেশ স্থগিত করায় উত্তেজিত হয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্ট এ লড়ার ঘোষণা দেন। জজ ডেরিকের আদেশের পর তেন্নেসীর ন্যাশভিলে সমর্থকদের এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, বিপদের আভাস পরিষ্কার, আইন পরিষ্কার, আমার নির্বাহী আদেশের প্রয়োজনীয়তা পরিষ্কার। আমেরিকানদের নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে এই দেশে কে আসবে কে আসবে না তা নিয়ন্ত্রণের কর্তৃত্ব আমার রয়েছে বলেও জানান ট্রাম্প।
হাওয়াই আদালতের রায়ে বলা হয় ছয় মুসলিম দেশের ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত ওই নির্বাহী আদেশের ফলে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে যার ওপর অনেকাংশেই নির্ভর করে হাওয়াইয়ের অর্থনীতি। গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প আরোপিত ৭ দেশের অভিবাসী ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞাটি আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় নতুন নিষেধাজ্ঞার নির্বাহী আদেশ দেন ট্রাম্প।
আগের নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আদতে তা আগের নিষেধাজ্ঞার মতো করেই মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হয়েছে। দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞায় শুধু ইরাকের নাম বাদ দেওয়া হয়। ইরাক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এই বিবেচনায় ইরাকের নাম দ্বিতীয় নিষেধাজ্ঞা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্বাহী আদেশে সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন এই সাত দেশ ছিল প্রথম নিষেধাজ্ঞায়। যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশ বন্ধের যুক্তি দেখিয়ে ওই আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালত ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করে দেন। এ নিয়ে বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিবিসি ও ভয়েস অব আমেরিকা