নড়াইলে চায়ের দোকানে ফেনিসিডিল
ইমরান হোসেন, নড়াইল : মামা আছে, হ্যাঁ… মামা আছে, মামা আজকে কত লাগাইছো, মামা আজকে দাম একটু বেশি। এভাবেই নড়াইল সিমাখালি ফেরিঘাটে একটি চায়ের দোকানে সদর উপজেলার নাকশি গ্রামের এক কাস্টমার ও ফেন্সিডিল ব্যবিসায়ীর মধ্যে দর কষাকষি চলছিল। বিভিন্ন গ্রামে চায়ের দোকানে এভাবে বিক্রি হচ্ছে ফেনসিডিল । ব্যবসায়ী-মাদকাক্তরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য দামাদামি করছে ডিজিটাল স্টাইলে ৩০০ টাকার জাইগা বলছে তিন টাকা, ৩৫০ টাকার বদলে বলছে সাড়ে তিন টাকা, ৩৭৫ টাকার বদলে বলছে পৌনে চার টাকা এবং ৪০০ টাকার বদলে বলছে চার টাকা।
জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুব সমাজের হাতের নাগালে রয়েছে ফেনসিডিল। ইচ্ছ করলেই তারা যেকোনো সময় ফেনসিডিল জোগাড় করতে পারে। কারণ ফেনসিডিল কিনতে এখন আর গ্রাম থেকে শহরে আসা লাগে না। গ্রামের বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসলেই পাওয়া যায় ফেনসিডিল । চা দোকানদাররা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত এ ব্যবসার সঙ্গে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, চায়ের দোকানদাররা অনেকে সরাসরি এই ব্যবসা করছে আবার অনেকে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে ফেনসিডিল চাহিদা মিটাচ্ছে। অনেক দোকানিরা ফেনসিডিল ব্যবসার দায়ে জেল খাটার অভিযোগও রয়েছে অহরহ। চায়ের দোকানে ফেনসিডিল সহজেই পাওয়া যায়। এতে এলাকার যুব সমাজ বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিপদগামী হচ্ছে।