পৃথিবীর কোনো দেশে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কোনো কথা নেই : নাসিম
রেজাউল করিম সিরাজগঞ্জ : পৃথিবীর কোনো দেশে নির্বাচনকালীন সরকার বলে কোনো কথা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই ক্ষমতাসীন দলের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হয়। বাংলাদেশেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই একাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কেবল নির্বাচনের বিকল্প নির্বাচন। গণতন্ত্রের বিকল্প গণতন্ত্র। জ্বালাও পোড়াও মানুষ হত্যা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না।
তিনি গতকাল রোববার দুপুরে জেলা কমিউিনিটি পুলিশিং এর প্রায় অর্ধ লক্ষ মানুষের এক মহাসমােেশ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আরো বলেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ওবামা নিজেই ক্ষমতায় থেকে তার দলের প্রার্থী হিলারীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। তারপরও বিরোধী দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্র্যাম্প নির্বাচিত হয়েছেন। পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন,অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিলাত মুন্না এমপি, গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি,সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশীদ আলম,র্যাব-১২ এর অধিনায়ক মো. শাহাব উদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আহবায়ক বিমল কুমার দাস,জান্নাত আরা হেনরী, হেলাল উদ্দিন, গাজী সাইদুর রহমান প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মোহাম্মদ নাসিম বিএনপির প্রতি ঈঙ্গিত করে বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল ২০১৪ সালের নির্বাচনের বন্ধ করার উদ্দেশ্যে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারা টার্গেট করে পুলিশকে হত্যা করেছে। তারপরও নির্বাচন হয়েছে। শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ভারত-পাকিস্তানসহ ইউরোপ আমেরিকার উন্নত রাষ্ট্রগুলো যেখানে ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের পুলিশ জীবন দিয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূলে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বাংলাদেশের পুলিশ এখন সাহসী। এদেশে কোনোদিন জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারবে না।
পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, পিপিএম,বিপিএম বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমলে পুলিশকে যেভাবে ব্যবহার করা হতো, সে অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। পুলিশের ওপর জনগণের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এটা একমাত্র সম্ভব কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে। বর্তমানে সময়ে পুলিশের দু’টো বানির্ং ইস্যু রয়েছে। একটি হলো মাদক, অন্যটি হলো জঙ্গিবাদ নির্মূল করা। এ দেশটি যেন আগামীতে ইরাক ও সিরিয়ার মত না হয়, কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জঙ্গী ও মাদক দুটোকেই নির্মূল করতে হবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান