২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিসভায়
তরিকুল ইসলাম সুমন: এখন থেকে প্রতিবছর ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করা হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা এবং এ দিবসটিকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র ‘ক’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছ। এছাড়াও দিনটি আন্তর্জাতিকভাবে পালনের লক্ষ্যে জাতিসংঘে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
এছাড়া বৈঠকে বস্ত্র আইন-২০১৭ এর খসড়াতে অনুমোদন দেওয়া হয় জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন থেকে দেশে বস্ত্র সংশ্লিষ্ট কোনো কারখানা স্থাপন করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে। আগে এটি অর্ডিনেন্স ছিল এখন আইন করা হয়েছে। আইনের দেখভাল করবে বস্ত্র অধিদফতর। শফিউল আলম বলেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে বালাইনাশক আইন-২০১৭ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নতুন আইন ভঙ্গ করলে প্রথমবার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, দ্বিতীয়বার এক লাখ টাকা, তৃতীয়বার দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুই বছরের কারাদ- দেওয়া হবে।
এছাড়াও বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড আইন-২০১৭, ভারতের সঙ্গে সইয়ের জন্য এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গর্ভমেন্ট অব রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া অ্যান্ড দ্য গর্ভমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ কনসার্নিং টু অরবিট ফ্রিকোয়েন্সি কো-অর্ডিনেশন অব ‘সাউথ এশিয়া স্যাটালাইট’ প্রপোসড অ্যাট ৪৮.ই, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত দ্বিপাক্ষিক পুঁজি বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তির সম্পূরক অংশ হিসেবে ‘জয়েন্ট ইন্টারপ্রেটিভ নোটস’ সইয়ের প্রস্তাব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ এবং উদ্ভাবনীমূলক কাজের জন্য অনুদান প্রদান সম্পর্কিত নীতিমালা (সংশোধীন)-২০১৬-এর খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। সম্পাদনা: এনামুল হক