যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও হিলারির ক্ষতি চেয়েছিল রাশিয়া
এম রবিউল্লাহ: রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ক্ষতি করতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইএর প্রধান জেমস কোমি। স্থানীয় সময় সোমবার সিনেট কংগ্রেশনাল কমিটির শুনানিতে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো রাশিয়ার সম্পর্কে এমন মন্তব্য করেন কোমি।
কংগ্রেসেশনাল কমিটিতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় কোমি বলেন, নির্বাচনে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প কর্মীদের কোনো যোগসাজশের বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। তবে রাশিয়া হিলারির চেয়ে ট্রাম্পের সমর্থন করেছে। তারা আমাদের গণতন্ত্রের ক্ষতি করতে চেয়েছিল। রাশিয়া হিলারির ক্ষতি করে ট্রাম্পকে সহায়তা করেছিল। গণতন্ত্রে ক্ষতি, ট্রাম্পকে সহায়তা ও হিলারির অনিষ্ট এ তিনটি বিষয় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে বলে ইন্টেলিজেন্টস কমিটির শুনানিতে কোমি জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ও ট্রাম্পের ফোনে ওবামার আড়িপাতার বিষয়ে কোমি বলেন, ডেমোক্রেটিক সার্ভার হ্যাক ও হিলারির নির্বাচনি প্রচারণার সময় কোনো অপকর্ম করেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে। ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণা দলের সঙ্গে রাশিয়ার হ্যাকের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
জেমস কোমি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ফোনে আড়িপাতার জন্য পূর্বসূরি বারাক ওবামার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তার সত্যতা প্রমাণের মতো কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে মার্কিন কংগ্রেসের ইনটেলিজেন্স কমিটির এই শুনানিতে কোমি ছাড়াও সাক্ষ্য দেন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান মাইকেল রজার্স।
জেমস কোমি একইসাথে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এটি নিশ্চিত করেন যে, গত মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ উঠেছে তার সংস্থা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের কোনো সহযোগী রাশিয়ার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে সহযোগিতা বা কোনো ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করে থাকলে তাও খতিয়ে দেখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টার ইনটেলিজেন্সের অংশ হিসাবে এই তদন্ত চলছে।
অপরদিকে অ্যাডমিরাল রজার্স স্পষ্ট করেই বলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রভাবিত করার রাশিয়ার উদ্যোগ কেবল একটি দৃষ্টান্ত নয়। এখন তারা ইউরোপে একই ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যেমনটা দেখেছি, যেটা ভুল তথ্য দিয়ে বা বানোয়াট খবর প্রকাশ করে করা হয়েছে সেই একই প্রয়াস আমরা ইউরোপেও দেখতে পাচ্ছি।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইনটেলিজেন্স কমিটির শুনানি চলার সময়ই এই টুইটার বার্তায় মন্তব্য করেন যে, সাক্ষ্য দানকারীরা বলেননি যে, রুশ হ্যাকাররা ভোটের সংখ্যা পাল্টে দিয়েছিল। সিএনএন অবলম্বনে