ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকিট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম
তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে টিকেট কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য চরম আকার ধারণ করেছে। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি বাড়ছে। মাঝে-মধ্যে প্রশাসন টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। কিন্ত তাতেও কাজ হচ্ছে না। সকাল থেকে দুপুর তারপর সন্ধ্যা পর্যন্ত কালোবাজারি প্রকাশ্যে রেলস্টেশনের টিকেট কাউন্টারের সামনে মূল ফটকটি দখল করে রাখছে। প্রতিটি আন্ত.নগর ট্রেনের সময়ের আধাঘণ্টা আগ মুহূর্তে থেকে হাতে ২০/৩০টি টিকেট নিয়ে প্রতিটি কালোবাজারিরা বেশ দাপটের সঙ্গেই রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (জিআরপি) পুলিশদের সামনে টিকেট কালোবাজারিরা ঢাকাগামী আন্ত.নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট নির্ধারিত ১২০ টাকার টিকেট ২৫০ টাকায় বিক্রি করছে। আন্ত.নগর মহানগর গৌধূলী, পারাবত ও তৃণনিশতার ট্রেনের নির্ধারিত ১৪৫ টাকার মূল্যের টিকেট ৩০০/৩৫০ টাকা আদায় করা হয়। সময় ও দিনক্ষণ বুঝে এ টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। এ ছাড়া চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মহানগর প্রভাতি, মহানগর এক্সপ্রেস ও তৃণনিশিতা ট্রেনের টিকেট সরকারিভাবে নির্ধারণ করা ২৩০ টাকার টিকেট কালোবাজারিরা বিক্রি করছে ৪৫০/ ৫০০ টাকা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক টিকেট কালোবাজারি জানায়, প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট আমরা এক সপ্তাহ থেকে পর্যায় ক্রমে ১০ দিন আগে টিকেট কাউন্টার থেকে নিয়ে থাকি। আর এই কাজের জন্য ষ্টেশনের টিকেট কাউন্টারে থাকায় ( বুকিং সহকারি )আমাদের সহযোগিতা করে থাকেন এর জন্য তাদের প্রতিটি আন্তনগর ট্রেনের টিকেটের জন্য ৩০/ ৫০ টাকার পর্যন্ত ক্ষেত্র বিশেষে দিয়ে থাকি। তারা গড়ে প্রতিদিন ১০০/১৫০ টিকেট আমাদের হাতে পৌঁছে দেয়। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান