ধর্মপ্রধান দেশের শিশুরা গণিত ও বিজ্ঞানে কাঁচা হয় : গবেষণা
পরাগ মাঝি: সাম্প্রতিক নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশে কড়া ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা হয় সেসব দেশের শিশুরা গণিত এবং বিজ্ঞান বিষয়কে কম বুঝে। গবেষণাটির প্রধান প্রফেসর জিসবার্ট এও বলেন যে, এসব দেশ সার্বিক শিক্ষার দিক দিয়েও অনগ্রসর। তাই এসব দেশের প্রতি জিসবার্টের উপদেশ হলো- তারা যেন ধর্মীয় শিক্ষাকে স্কুলের গন্ডি অব্দি না নিয়ে আসেন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে ধর্মীয় বিশ্বাস যেন কোন বিঘœ না ঘটায় সে বিষয়েও মনোযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের লিডস ব্যাকেট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরি যৌথভাবে ওই গবেষণাটি চালায়। পরে তাদের গবেষণাপত্রটি জার্নাল ‘ইনটেলিজেন্স’-এ প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রে তারা বিগত এক দশকের পর্যালোচনা অনুযায়ী ৮২টি দেশের ধর্মীয় অনুশাসনের উপর এক থেকে দশ (১-১০) এর মধ্যে নম্বর প্রদান করেন। দ্য ইনডিপেন্ডেন্ট
সেই তালিকা অনুযায়ী, স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় অনুশাসন নেই এমন প্রথম সারির কয়েকটি দেশ হলো- চেক রিপাবলিক, জাপান, এস্তোনিয়া, সুইডেন এবং নরওয়ে। তবে এই তালিকানুযায়ী, স্কুল পর্যায়ে ধর্মীয় শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় যে কয়েকটি দেশে তার প্রথম সারিতে আছে জর্ডান, ইয়েমেন, ইন্দোনেশিয়া এবং কাতার। গবেষক দলটির প্রফেসর সোয়েত এবং ডেভিড গ্যারি আন্তর্জাতিক ছাত্র মূল্যয়ন কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক গণিত ও বিজ্ঞান পর্যালোচনা থেকে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এই পরিসংখ্যান চিত্রটি তৈরী করেন। তারা দেখেন, যেসব দেশ যত বেশি পরিমাণে ধর্মীয় প্রভাবযুক্ত সেসব দেশ তাদের শিক্ষা ব্যাবস্থার গভীরতায় তত বেশি দুর্বল।
গবেষকদের মতে, বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হোক। কিন্তু বিশ্বাসের যে জায়গাগুলো তা যেন সত্য কিংবা তথ্যের আদলে প্রকাশ করা না হয়। গবেষকরা তাদের গবেষণায় এও দেখেন যে, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরাই বেশি ধর্মপরায়ণ হয়। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ