শিশুকে নিজ দেশের গৌরবের ইতিহাস সম্পর্কে জানান
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শিশুদের শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। তাদের জন্য অবশ্যই খেলাধুলা, বিনোদন এবং সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে শিশু সামাজিক হবে এবং সহনশীল হতে শিখবে।
আবার কেউ কেউ শিশুদের সংস্কৃতি বিকাশের পন্থা হিসেবে নাচ, গানসহ এসব সংস্কৃতিক অ্যাক্টিভিটিসকেই বোঝেন। ফলে এগুলোকে নিয়ে আরেক ধরনের প্রতিযোগিতায় চলে যান তারা। ফলে শিশুর সংস্কৃতিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। তবে এটা ঠিক শুধু প্রতিযোগিতামূলক সংস্কৃতির বিকাশের মধ্য দিয়ে যেসব শিশু বড় হয় তারাও অন্য সাধারণ শিশুর চেয়ে একটু বেশি সচেতন হয়।
শিশুর জন্য সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ রাখতে এভাবেই কথা বললেন বিশিষ্টজনরা। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, শিশুদের উপর পাঠ্যবইয়ের চাপ এখন অনেক বেশি। তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত করা হচ্ছে। ফলে এসব শিশুরা বড় হয়ে দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি অনুরাগী হচ্ছে না। তাই শিশুদের পাড়াভিত্তিক এবং পরিবারভিত্তিক সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সংস্কৃতির প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের তো অনেক গৌরবের ইতিহাস রয়েছে, শিশুকে এগুলো জানান। শিশু বেড়ে উঠবে আত্মমর্যাদা নিয়ে।
শিশু সংগঠনক লিটন হোসেন বলেন, শুধু পড়ালেখার মধ্যে রাখলে শিশুর উপর মানসিক চাপ পড়ে। এর বাইরে দেশ-সমাজ-সংস্কৃতি সম্পর্কে শিশু একেবারেই অন্ধকারে থাকে। তাই শিশুদের জন্য পাড়া-মহল্লা ভিত্তিক সংগঠন গড়ে তোলা উচিত। যেখানে সে তার দেশ ও আশপাশের মানুষ সম্পর্কে জানবে এবং তার মানসিক গঠন ভালোভাবে তৈরি হবে।