মুফতি হান্নানসহ তিন আসামির মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : আনোয়ার চৌধুরী হত্যাচেষ্টা মামলায় জঙ্গি মুফতি হান্নানসহ তিনজনের মৃত্যুদ- পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ হওয়ার পর মৃত্যু পরোয়ানা সিলেট কারাগারে পৌঁছেছে। গতকাল বুধবার বিকালে হুজি নেতা মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছায় বলে সিলেট জেলা কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার মো. ছগির মিয়া জানান। দ-িত তিনজনের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন রয়েছেন সিলেট জেলা কারাগারে।
ছগির মিয়া বলেন, বিচারিক আদালত সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে বুধবার দ-িত তিনজনের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু এ কারাগারে শুধু দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপন রয়েছেন। তাই তাকে পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। অপর দুজন গাজীপুরে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন বলে তাদের পরোয়ানা সন্ধ্যায় সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ছগির মিয়া বলেন, আপিল বিভাগের রায় হওয়ার পর এর আগেও কারাগারে তাদের মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হয়েছিল। এরপর রিভিউ আবেদন করায় এবং তা খারিজ হওয়ায় আবার মৃত্যু পরোয়ানা পাঠানো হলো।
গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে মুফতি হান্নানকে রায়টি পড়ে শোনানো হয় বলে জানান গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের কারা তত্ত্বাবধায়ক মিজানুর রহমান।
সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজার প্রাঙ্গণে ২০০৪ সালের ২১ মে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী গ্রেনেড হামলার মুখে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই পুলিশের এএসআই কামাল উদ্দিন নিহত হন। এছাড়া পুলিশ কনস্টেবল রুবেল আহমেদ ও হাবিল মিয়া নামের আরেক ব্যক্তি মারা যান হাসপাতালে। আনোয়ার চৌধুরী ও সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অন্তত ৪০ জন ওই ঘটনায় আহত হন। ওই ঘটনায় করা মামলার চূড়ান্ত রায়ে আপিল বিভাগ গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল রাখে। এ মামলায় যাবজ্জীবন দ-িত দুই আসামি মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে হাই কোর্ট যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিল। আপিল না করায় তাদের ওই সাজাই বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামি রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। তাদের আবেদন গত ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ আদালতে তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে চূড়ান্ত বিচারেও ফাঁসির রায় বহাল থাকে।