সন্ত্রাসীরা আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে : খালেদা জিয়া
শাহানুজ্জামান টিটু: সন্ত্রাসীরা আজ আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ মন্তব্য করেন তিনি। গত বুধবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অধিবেশন চলার সময় পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলি ও ছুরি দিয়ে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর কিছুক্ষণ পূর্বে পার্লামেন্টের অদূরে ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজের কাছে একটি গাড়ি পাঁচজনকে চাপা দেয়। এতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই প্রাণবিনাশী সহিংস রক্তাক্ত ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, পৃথিবীর নানা দেশে আজ সন্ত্রাসীরা দুর্বিনীত পন্থায় বিকল্প রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের বেপরোয়া মরণখেলায় যেভাবে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরছে তা মর্মস্পর্শী এবং অবিশ্বাস্য। এরা রাষ্ট্র ও সমাজে মানুষের স্বাভাবিক জীবন প্রবাহ রুদ্ধ করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। একের পর এক বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে তাদের রক্তমাখা কর্মকা- সমাজজীবনকে আতঙ্কিত ও নির্বিকার করে তুলেছে। এদের উপর্যুপরি নানা পৈশাচিক কায়দায় মানুষ হত্যার যে বিভৎসতা বিশ্ববাসী অবলোকন করছে তাতে মানবসমাজে অনিবার্য বিপন্নতা, ভীতি ও গতিহীনতার অচলায়তন সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা মানবজাতির শত্রু। এরা মানবসভ্যতার সব কীর্তিচিহ্ন ধুলায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে আদিম বর্বরতার দিকে পৃথিবীকে নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এরা মধ্যযুগের বর্বর হিংস্রতার অনাবৃত কুৎসিত রূপ। এদের দমন করতে এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, নইলে মানবসম্প্রদায় এক দিশাহীন গাঢ় অন্ধকারের মধ্যে নিপতিত হবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও নারীসহ নিরীহ মানুষ যারা নিহত ও আহত হয়েছেন তাতে বেদনার্ত যুক্তরাজ্যবাসীর মতো আমিও সমব্যথী। ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে এই সন্ত্রাসী ঘটনা মোকাবিলা ও অপরাধীদের শাস্তি বিধানে যুক্তরাজ্য সরকার সক্ষম হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। আমি এবং বিএনপি যুক্তরাজ্যবাসীর এই সংকটকালে তাদের পাশে থাকব। বেগম জিয়া নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেন। সম্পাদনা: শিমুল মাহমুদ