বাংলাদেশ ব্যাংক হ্যাকিংয়ে উত্তর কোরিয়া জড়িত, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে
খবরটি বিশ্বখ্যাত ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের হলেও বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে তা এখন বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে গেছে। এতে বলা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত। গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের কর্মকর্তারা জেনেছেন চীনা মধ্যসত্ত্বভোগী ও ব্যবসায়ীদের সহায়তায় উত্তর কোরিয়ার সাইবার হ্যাকাররা নাকি তা করতে সক্ষম হয়েছে। সে জন্য দেশটির বিরুদ্ধে একটি মামলারও প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই গত মঙ্গলবারের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত কর্মকর্তরা মনে করছেন উত্তর কোরিয়া সরকারের নির্দেশনায় নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ অ্যাকাউন্ট থেকে ৮১ মিলিয়ন ডলার তথা আট কোটি দশ লাখ ডলার চুরি করা হয়। এতে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কথিত হ্যাকাররা আন্তর্জাতিক ব্যাংক কোড ব্যবহার করে ‘সুইফট’ সিস্টেমের মাধ্যমে নিউইয়র্ক থেকে ফিলিপাইনে অর্থ সরাতে সক্ষম হয়।
ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সহকারি পরিচালক রিচার্ড লেজেট বলেছেন, উত্তর কোরিয়া হয়তো জড়িত। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাগুলোও তেমন ইঙ্গিত করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ফলে ওই সকল মধ্যসত্ত্বভোগীদের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে হ্যাকাররা ১০ কোটি ১০ লাখ চুরিতে সক্ষম হলেও পরে দুই কোটি ডলার উদ্ধার করা গেছে। ফিলিপাইনের সিনেট কমিটি ওই চুরির ঘটনা তদন্তের পর একটি ক্যাসিনোর মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে লক্ষণীয় দিকটি হচ্ছে- গবেষক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ চুরির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক আর্থিক খাতে সাইবার হামলা এবং ২০১৪ সালে হলিউডের সনি পিকচার্স স্টুডিও হ্যাকের মাঝে সাযুজ্যতা খুঁজে পেয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্যাংকের হ্যাকের ঘটনাটিকে ‘ওয়ান অব দ্য বিগেস্ট হেইস্টস ইন মডার্ন টাইম’ বা ‘আধুনিককালের অন্যতম বৃহৎ সাইবার হামলা’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ইমেইল:নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স