মুফতি হান্নানের সহযোগী বিপুল প্রাণভিক্ষা চাইবেন না, মুফতি হান্নান ও রিপন চাইবেন
আজাদ হোসেন সুমন: হরকাতুল জিহাদের (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নান সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে কাসিমপুর কারাগারে মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়েছে। মুফতি হান্নানের আরেক সহযোগী সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা রিপন প্রাণভিক্ষার আবেদন করবেন বলে জানা গেছে। তবে গতকাল পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন করেননি। একই কথা শোনা গেছে মুফতি হান্নানের ব্যাপারেও তবে তিনিও গতকাল পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন করেননি।
কারা সূত্র জানায়, মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানোর দিন থেকে ৭ দিন সময় পাবেন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করার। গতকাল পর্যন্ত তিনি কোনো আবেদন করেননি। কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। আজকালের মধ্যে তার সাথে সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট কথা বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানতে চাইবেন।
এ ব্যাপারে কাসিমপুর কারাগারের এক কর্মকর্তা বলেন, আইন অনুযায়ী ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করতে পারবেন। এটা দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির একান্ত ব্যাপার। তিনি যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করেন-তাহলে আনুসাঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে ফাঁসি কার্যকর করা যায়।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১মে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলে তিন জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ৭০ জন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের বিচারিক আদালত হুজি প্রধান মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে রিপনকে মৃত্যুদন্ড এবং হান্নানের ভাই মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ ওরফে অভি এবং মুফতি মঈন উদ্দিন ওরফে আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। আসামিপক্ষ এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। ১৯ মার্চ এ রায়ও খারিজ করে দেন আদালত। এর আগে ২০০৬ সালের ৩০ মার্চ শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাইসহ শীর্ষ ৫ জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। সম্পাদনা : এনামুল হক