উম্মুল ওয়ারা সুইটি: দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দ্বারা কন্যাশিশুদের যৌন হয়রানির সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। মাঝে মাঝে দ্-ুএকটি ঘটনা প্রকাশ হলেও পরবর্তীতে বিচার না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এসব হয়রানির ঘটনা এড়িয়ে যান। সন্তানকে স্কুল বদল করার অথবা নীরবে সহ্য করেন।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেছেন, শিক্ষকদের দ্বারা মেয়ে শিক্ষার্থীরা যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন অহরহ। এসব ক্ষেত্রে অভিযোগকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিচার তো পানই না, বরং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয় এবং মেয়েটির পড়ালেখাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। যদি বিচার হতো তাহলে অভিযোগ আসতো অনেক বেশি। তিনি জানান, অনেক মেয়ের পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়েছে, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায়। গণমাধ্যমে তো সবকিছু উঠে আসে না। তবে আমি বলবো, যতোই হোক অবশ্যই শিক্ষকদের এই বিকৃত যৌন অপরাধের বিরুদ্ধে অভিভাবক এবং সমাজকে রুখে দাঁড়াতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনেক সময় তরুণীরা যৌন হয়রানির কথা বলেন। কিন্তু স্কুল পর্যায়ে যদি শিক্ষকরা যৌন হয়রানি করে তাহলে এই কোমলমতি শিশুরা কিভাবে বড় হবে। তাই তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবশ্যই ওই শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আর সামাজিকভাবে শিক্ষক বলে ধর্ষকদের প্রশ্রয় দেওয়া বা বাঁচিয়ে দেওয়ার কাজ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে যদি কোনো অভিভাবক বিচার না পায় তাহলে অবশ্যই তাদেরকে উপরের পর্যায়ে এসে প্রতিবাদ করতে হবে। চুপ করে থাকা যাবে না।