জাফর আহমদ: বাংলাদেশ ব্যাংকের আগুন নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন বিএনপির দুই প্রবীণ ও রাজনীতিতে সজ্জন বলে পরিচিত দুই নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ড. মঈন খান। ২৩ মার্চ রাত সাড়ে ৯টায় যেখানে আগুনের ঘটনাটি ঘটেছে তা হলো বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ। এই বিভাগে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদেশি বিনিয়োগের মুনাফা পাঠানো ও ভ্রমণে যাওয়ার খরচ নিয়ে যাওয়া সম্পর্কিত ছোট্ট পরিমাণে অর্থ পাঠানো নীতি তৈরি করা হয়। এখানে রিজার্ভ লেনদেন সম্পর্কিত কোনো কোনো নীতি-কৌশল বা রিজার্ভ লেনদেন হয় হয় না। কিন্তু বিএনপি দুই নেতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এখন রিজার্ভের অর্থ লেনদেন করা হয়।
গত শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর তোলা আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে আগুনের ঘটনায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ঠিক সেই তলাতে আগুন লাগলো যে তলায় বৈদেশিক রিজার্ভের ডকুমেন্টস রাখা আছে। যে তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ হয়।’
গত শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩২তলা ভবনের মধ্যে কেনো ১৩ এবং ১৪ তালায় আগুন লাগলো? যে দুই তলায় বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে কাজ করা হয়।’
উল্লেখ্য, ফ্রন্ট অফিস, মিড অফিস এবং ব্যাক অফিস নামে তিনটি অফিসের মাধ্যমে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফ্রন্ট অফিস ও মিড অফিস রয়েছে লিফটের ৯ম ফ্লোর বা ১০ তলাতে অবস্থিত ফরেক্স রিজার্ভম্যাজেমেন্ট বিভাগে। ব্যাক অফিসে রয়েছে লিফট এর ৮ম ফ্লোর বা ৯ তলাতে। এছাড়া ১৪তম ফ্লোরে রয়েছে বাণিজ্যিক সকল ব্যাংককে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণের জন্য ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডস), ১২তম ফ্লোরে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) শাখা। যেখান থেকে ব্যাংক অনুমোদন, নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হয়। এখানে ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়োগ সম্পর্কিত কাজসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হয়। ১১তলাতে রয়েছে ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফইউআই), ১০তম ফ্লোরে ইন্টারনাল বিভাগ। সম্পাদনা : শিমুল মাহমুদ