জায়গা জটিলতায় ধরলায় ৩০ মেগাওয়াট সোলার পার্ক বাস্তবায়ন হচ্ছে না
ফারুক আলম : কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর তীরে প্রস্তাবিত ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার পার্ক হওয়ার কথা থাকলেও জায়গার অভাবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে জানিয়েছে জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। সূত্র জানায়, প্রকল্পটির জন্য নতুন জায়গা খোঁজা হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যে এ সমস্যাটি সমাধান হবে। প্রকল্পটি স্থানান্তর করায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় বাড়বে, উৎপাদিত বিদ্যুতের ট্যারিফ পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। এ ছাড়াও পিপিআর ২০০৮ অনুযায়ী প্রকল্পটি স্থানান্তরের সুযোগ নাই। এসব বিবেচনা করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ প্রকল্পটি আপাতত বাতিলের আবেদন জানিয়ে একটি প্রস্তাব সরকরি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়েছে।
সূত্র জানায়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) বেসরকারি খাতের মাধ্যমে কুঁড়িগ্রাম জেলার ধরলা নদীর তীরে ৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। প্রকল্পটির জন্য প্রস্তাবিত জমিতে সোলার পার্ক স্থাপনের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) প্রতিনিধিসহ ৫ সদস্যের একট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইক্রমে সুপারিশ করে যে, প্রস্তাবিত এলাকাটি সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য উপযোগী। উল্লেখ প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্পন্সর নিয়োগের লক্ষ্যে পিপিআর অনুযায়ী দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক ইটার্ণ-সিসিসিই-হ্যারিয়ন কনসোর্টিয়ামকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে নির্বাচন করা হয় এবং সেজন্য দরপ্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পাঠানো হয়। কমিটির গত ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রস্তাবক কোম্পানির কাছে আগ্রহ পত্র আহ্বান করা হয়। এ ছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কুঁড়িগ্রাম জেলার মাধবরাম মৌজায় ১৭ দশমিক ২৭ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করা হয় এবং ৯৮ দশমিক ২৭ একর খাস জমি হস্তান্তরের প্রস্তাব ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদন দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে স্পন্সর কোম্পানি নির্মিতব্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সুরক্ষার জন্য প্রকল্প এলাকার ধরলা নদীর তীরে বাঁধ নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানায়।