কিরণ সেখ: কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এক ধরনের অশুভ ইচ্ছা পূরণে সরকার ও সরকারি দলীয় লোকজন কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন করছেন। স্থানীয় মন্ত্রী ও তার মেয়ে নির্বাচনের এলাকা ঘেঁষে সমাবেশ করছেন, যাতে ভোটাররা বক্তব্য শুনতে পারেন। এমনকি বঙ্গবন্ধু ও শেখ সেলিমের পোস্টার টানানো হয়েছে, যা নির্বাচনি আচারণবিধি লঙ্ঘন বলেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে আমরা পরে আপনাদের অবহিত করবো। তবে কুসিক নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানোর জন্য গত সোমবার আমরা সিইসি কে এম নুরুল হুদাকে বলেছি। তবে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো সম্ভব না হলে, যে ৪৩টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলোতে লাগাতে হবে। পুলিশ ও স্থানীয় সন্ত্রাসীদ কর্তৃক কুসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, নির্বাচনি পরিবেশ এবং সিইসির বক্তব্যের মধ্যে কোনো মিল নেই। তবুও আমরা আশা করছি, কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট প্রদানের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সিইসি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবেন। চীনের কাছ থেকে দুটি সাবমেরিন কিনে প্রধানমন্ত্রী এখন বিপাকে মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ভারত মনে করছে, শেখ হাসিনার উপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভারত তার পরীক্ষিত বন্ধুর এ ধরনের বিচ্যুতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তাই ভারত এখন শেখ হাসিনার উপর থেকে চীনের প্রভাব কাটাতেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করার জন্য পীড়াপীড়ি করছে। প্রধানমন্ত্রী চারদিকে খেলতে গিয়ে এ ধরনের হোঁচট খাবেন তা তিনি আগে ভাবতে পারেননি বলেন তিনি। রিজভী বলেন, ভারত বর্তমান সরকারের ক্ষমতায় থাকার উৎস। আর তারা যদি বেঁকে বসেন তাহলে বাংলাদেশ সরকারের জন্য তা মহা উদ্বেগ ও মহা দুশ্চিন্তার বিষয়। তাই বন্ধুকে খুশি রাখতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে ‘সুপার হিউম্যান স্পিডে’ এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে কাশ্মীর বানাবেন না। নিজের ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্নসাধকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রতিরক্ষা চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যকে ভারতের জিম্মায় তুলে দিবেন না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু ও মুনির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: রফিক আহমেদ