ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ
মুরাদ হাসান: জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে দুই জেলায় ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল শনিবার ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ২শ’ শিক্ষার্থীকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকালে জেলার ৬টি উপজেলায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ম থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। প্রথমে শৈলকুপা উপজেলার অচিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে।
শৈলকুপা উপজেলার অচিন্তপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক এমদাদুল হক জানান, গতকাল শনিবার ১০টার পর কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। দুজন শিক্ষার্থী বাথরুমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে আরো ৬০-৭০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। এরপর দেবতলা প্রাইমারি স্কুল, কবিরপুর প্রাইমারি স্কুল, হিতামপুর প্রাইমারি স্কুল, কাতলাগাড়ি হাইস্কুলসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান। বিকাল ৪টা পর্যন্ত অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাক্তার রাশেদা সুলতানা জানান, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। ইতোমধ্যে অনেকে সুস্থ হয়েছে। কৃমির ট্যাবলেট খেলে কেউ অসুস্থ হয় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কুষ্টিয়া থেকে আব্দুম মুনিব জানান, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্কুলে কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। গতকাল দুপুরে তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্তের অধিকাংশই ছাত্রী।
শিক্ষক ও স্বজনরা জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল সকালে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। এরপর শিশু শিক্ষার্থীদের মাথা ঘুরতে শুরু করে এবং তারা বমি করতে করতে দুর্বল হয়ে পড়ে।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন নাজমুল ইসলাম বলেন, এটা মানসিক কারণে হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কারো অবস্থা গুরুতর নয়।