শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা: জাটকাবোঝাই ট্রাক ও পিকআপ ঢুকছে মাছের আড়তে। শ্রমিকেরা সেসব জাটকা স্তূপাকারে রাখছেন অকশন সেডের মেঝেতে। সেখানে ডাকে বিক্রি হচ্ছে এইসব জাটকা। তারপর আরও দুই এক দফা হাত ঘুরে যাচ্ছে স্থানীয় বাজারে।
খুলনা মহানগরীর কেসিসি রূপসা পাইকারি মাছ বাজারের এ দৃশ্য এখন প্রতিদিনের। ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের পাশাপাশি ফিশিং ট্রলারেও জাটকা ইলিশ আসছে বাজারে।ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সামনে বৈশাখ মাস আসছে। নতুন বছর উপলক্ষে এই সময় ইলিশের চাহিদা অনেক বাড়ে। কিন্তু এখন মৌসুম না হওয়ায় বাজারে ইলিশ আসা সম্ভব না। পান্তা ইলিশ ছাড়া আবার বাঙালি পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে পারে না। তাই ক্রেতারা ক্রয়-বিক্রি নিষিদ্ধ জেনেও কিনছেন জাটকা।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, আসছে পয়লা বৈশাখ পর্যন্ত ‘পান্তা ইলিশের’ অযুহাতে জাটকা বিক্রি তারা বৈধ বলেই ধরে নিচ্ছেন।
তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা বিক্রি করায় ইলিশের সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। তাদের অভিযোগ জাটকা বিক্রি বন্ধে মাঝে মাঝে দায়সারা অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর।খুলনার নূরনগর এলাকার বাসিন্দা ও পরিবেশ কর্মী সামসউদ্দীন আইয়ুব অভিযোগ করেন, জাটকা বিক্রি বন্ধে মাঝে মাঝে দায়সারা অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তর। তারা অভিযান পরিচালনা করার কয়েক ঘণ্টা পরেই বাজারে ফের জাটকা পাওয়া যায়।তিনি অভিযোগ করেন, জাটকা ধরা ও বিক্রি বন্ধে কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদপ্তরের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করলেও কাউকে আটক বা জরিমানা করছে না তারা।তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদ বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জাটকা যাতে বিক্রি না হয় সেদিকে নজর রাখছি।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান