জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু, দীর্ঘ হচ্ছে লাশের সারি
ইউছুপ রেজা, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলোর একটি কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট এলাকার একমুখী সেতুটি। কালুরঘাট সেতুর সঙ্গে লাগোয়া বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্নস্থানে বড়বড় কোম্পানিগুলো শিল্প-কারখানা গড়ে তোলার জন্য জমি ক্রয় করে সাইনবোর্ড টাঙিয়েও কালুরঘাট একমুখী সেতুর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নতুন শিল্পকারখানা গড়ে তুলছে না। আন্তর্জাতিক মানের অর্ধশতাধিক কারখানা থাকলে আলোর মুখ দেখছে না ।একমুখী সেতু হওয়ায় একদিক থেকে যানবাহন উঠলে অন্যদিক থেকে দেখা যায় না। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এদিকে রেল চলাচলের সময় সেতু পার হতে গিয়ে একাধিক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে অনেকেই। স্থানীয় জনসাধারণের জন্য একমুখী এ সেতুটি এখন নরকযন্ত্রণা হিসেবে দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের (২০০৮-২০১৩) প্রথম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে কর্ণফুলী নদীর উপর আরেকটি কংক্রিট সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। এছাড়াও ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর (শাহ আমানত সেতু) উদ্বোধন শেষে পটিয়ায় এক জনসভায় সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। এটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির অগ্রাধিকার প্রকল্প। সম্প্রতি তিনদফায় সেতু নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন শেষে শিগগিরই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক সেই সময়ে একনেক কমিটির সভায় তা উত্থাপনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় এবং জনগণকে দেয়া ওয়াদা রক্ষা করতে এ সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু করা হবে। প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান