হাকালুকি হাওরের বোরো ফসল পানির নিচে
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের ২৫ হাজার হেক্টরের বেশি বোরো ধানের শতভাগ তলিয়ে গেছে। কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢলের করাল গ্রাস থেকে কিছু পাওয়ার আশা নেই। তাই হাওর তীরের ৫ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি সর্বস্তরের মানুষ ও জনপ্রতিনিধিদের। পুরোটা বছরের খাদ্য সংস্থান নিয়ে হাওর তীরের মানুষের মাঝে হতাশা ও উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
কুলাউড়া উপজেলার ভুকশিমইল, জয়চন্ডী, ভাটেরা ও বরমচাল ইউনিয়ন, জুড়ী উপজেলার জায়ফর নগর ও পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়ন, বড়লেখা উপজেলার সুজানগর, বর্নি ও তালিমপুর ইউনিয়ন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়র ও গোলাপঞ্জ উপজেলার শরীফগঞ্জ ও উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়ন হাকালুকি হাওর তীরে অবস্থিত। যেহেতু অকাল বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে এসব ইউনিয়নের ২৫ হাজার হেক্টরের বেশি বোরো ধানের শতভাগ তলিয়ে গেছে। গত বুধবার থেকে বৃষ্টিপাত থামলেও হাওরে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরের বোরো ধান কোথাও ২ -৩ ফুট পানির নিচে। তাছাড়া কাঁচা বোরো ধান তলিয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি নামলেও সেই ধান পচে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে হাওর তীরের মানুষের আর বোরো ধান পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছেন কৃষকরা। হাওর তীরের কৃষক আব্দুল হাসিম, আব্দুল মন্নান, আব্দুল মালিক, মদন নাথ, মুছা মিয়া জানান, বোরো ধান পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছি। বোরো ধান না পেলে বৈশাখ মাস থেকেই খাবারের জন্য চাল কিনতে হবে। এমনিতে চালের দামও উর্ধ্বমুখী।
পরিবার পরিজনের মুখে দু’মুটো ভাত তুলে দেয়া মুশকিল হবে। হাওর তীরের ভুকশিমইল ই্উনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির, জয়চন্ডী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ কমরু, বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আহবাব চৌধুরী শাহজাহান, জায়ফর নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মাছুম রেজা জানান, সারা বছরে এক ক্ষেত। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান