বিদ্যুৎ বিভাগের ৪ ইলেক্ট্র্রিশিয়ানের মৃত্যু প্রকৃত রহস্য বের করার দাবি
নুরনবী সরকার, লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা ভেলাগুড়ি এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের ভুলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে ৪ জনের মৃত্যু’র ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় নিহতদের পারিবার ও ইলেকট্রিশিয়ানসহ সর্বস্তরে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মোবাইল কললিস্টসহ পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দোষী বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও কর্ম বিরতিসহ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ ইলেকট্রিশিয়ান সমিতি। হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি কাছিম বাজারের ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদিন জানান, গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎতের ছিড়ে পরা তারটি মেরামত করতে ইলেকট্রিশিয়ান খোরশেদ আলমকে চাপ দেয় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। বিদ্যুৎ বিভাগের পাঠানো তার নিয়ে পরের দিন বধুবার ১২ শত টাকার বিনিময় সকাল ১০ টার পরে হাতীবান্ধা আবাসিক বিদ্যুৎ কন্ট্রোল রুমে মোবাইল ফোনে কথা বলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ করে দিয়ে খুটিতে উঠেন ৪ ইলেকট্রিশিয়ান। মাত্র ১৫-২০ মিনিটের ব্যবধানে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন চালু হলে পাখির মত পড়ে মারা যায় ওই ৪ শ্রমিক। ওই এলাকার কলেজ ছাত্র সুজানুর রহমান সুজন জানান, খোরশেদ আলম হাতীবান্ধা আবাসিক বিদ্যুৎ অফিসে মাষ্টার রোলে বিল বিতরণকারীর চাকুরী করেছিলো। মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় গত দুই মাস আগে তাকে বাদ দিয়ে লিপ্টন নামে একটি ছেলেকে নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের কাছে বেশ কিছু টাকা পেতো খোরশেদ আলম। ওই টাকা নিয়ে হাতীবান্ধা বিদ্যুৎ’তের আবাসিক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসালামের মাধ্যস্থতায় কয়েক বার বৈঠক হলেও টাকা ও বকেয়া বেতন পায়নি খোরশেদ। ফলে এনিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে খোরশেদের দ্বন্দ চলে আসছিলো। তার মতে, এসব কারণেই হতে পারে খোরদেশ আলমসহ ৪ ইলেকট্রিশিয়ানের পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তিনি বলেন, ঘটনার দিন সকালে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে খোরশেদ আলমের কয়েক বার মোবাইলে কথা হয়েছে। কললিস্ট দেখলেই বের হবে প্রকৃত রহস্য। তিনি আরও বলেন, ঝড়ে ছিড়ে পরার কারনে মঙ্গলবার রাতে পিডিবি’র আবাসিক প্রকৌশলী ও তার লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একদিন অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ সংযোগ না দিয়ে তারা খোরশেদের নিকট বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য তার পাঠিয়ে দেয়।সম্পাদনা: শাহীন আলম