সিরিয়ায় অনড় ট্রাম্প লাভ জঙ্গিদের, দাবি রুহানির
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জঙ্গিরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে বলে তোপ দাগলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। মার্কিন প্রেসিডেন্টকেই সরাসরি নিশানায় রেখে তিনি বলেন, ‘‘হোয়াইট হাউসে এসেই ডোনাল্ড ট্রাম্প আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এটা কী হল? এখন তো দেখছি, উল্টে জঙ্গিরাই ট্রাম্পের নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে।’’ দামাস্কাসের বিরুদ্ধে ওঠা রাসায়নিক হামলার অভিযোগ রাশিয়ার মতো মানতে নারাজ ইরানও। এ নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন বসানোর আর্জি জানিয়েছেন রুহানি। আমেরিকা পরোক্ষে জঙ্গিদেরই উস্কানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়াও। সূত্র: আনন্দবাজার
যুক্তরাষ্ট্র তবু পিছু হটতে নারাজ। বরং সিরিয়াকে সোজা করতে প্রয়োজনে ফের হামলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে রাখল ট্রাম্প প্রশাসন। রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এই মুহূর্তে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রয়েছেন। বাসার আল-আসাদের বাহিনীকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার মতো করে শনিবার তিনিও বলেন, ‘‘পরবর্তী পদক্ষেপ করতে আমরা তৈরি। কিন্তু আশা করি, তার আর দরকার হবে না।’’ তবে রাসায়নিক হামলার মতো ‘যুদ্ধাপরাধ’ যে কখনওই বরদাস্ত করা হবে না, তা আজ ফের স্পষ্ট করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। একই সঙ্গে তারা চাপে রাখতে চাইছে রাশিয়াকেও। যে রাসায়নিক হামলার পাল্টা হিসেবে শুক্রবার ভোররাতে আমেরিকা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তার পিছনে মস্কোর হাত আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখতে চাইছে পেন্টাগন। কারণ এই মুহূর্তে আসাদের সব চেয়ে বড় বন্ধু রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদামির পুতিন। সেই আঁতাঁতের দিকেই আঙুল তুলে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিকি হ্যালি গতকাল রোববার বলেন, সিরিয়ায় দায়িত্বশীলের মতো আচরণ করুক রুশ সরকারÑ এমনটা শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা বিশ্ব চাইছে। তবু সিরিয়া সেই সিরিয়াতেই। যুদ্ধে জেরবার। রুশ বাহিনী সেখানকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না বলে দীর্ঘ দিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে ওয়াশিংটন। আজ ফের তাদেরই বিরুদ্ধে বিমান হামলার অভিযোগ উঠল ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে। চলতি সপ্তাহে এখানেই ভয়াবহ রাসায়নিক হামলা হয় বলে অভিযোগ। বিদ্রোহীদের দাবি, আজকের হামলায় এক নিরীহ মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর পাওয়ার পরেই ফের সুর চড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একযোগে বিঁধতে শুরু করেছে রাশিয়াকেও।
মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন বলেন, মস্কোর এই আসাদ-পন্থী অবস্থানে আমরা হতাশ। বিস্মিত নই।’ আগামী সপ্তাহে মস্কো সফরে যাচ্ছেন টিলারসন। মার্কিন কূটনীতিকদের অনুমান, পুতিন এ বার নির্ঘাত চেপে ধরবেন ট্রাম্পের বিদেশ সচিবকে। কিন্তু সিরিয়ায় আইএস দমনের কী হবে? চুক্তি মোতাবেক ট্রাম্প-পুতিনের তো সেখানে একজোট হয়েই থাকার কথা! এর উত্তরে হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার বলেন, জঙ্গি হটাতে যৌথ লড়াইয়ে কোনও আপত্তি নেই যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু কেউ যদি নিজের দেশবাসীকেই বিষাক্ত গ্যাস ছুড়ে মারে, আমরা তা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করব না। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা আচার্য্য