সুস্থতা আল্লাহ তায়ালার একটি বড় নেয়ামত। শরীর সুস্থ থাকার জন্য মনের সুস্থতাও জরুরি। সুস্থ দেহমন পরস্পর পরিপূরক। দৈনন্দিন কাজ থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে শারীরিক সক্ষমতার বিকল্প নেই। প্রিয়নবী সা. এরশাদ করেন, ‘মানুষ দুটি বিষয়ে বড়ই উদাসীন, সুস্থতা ও অবসর সময়।’ (বোখারি : ২/৯৪৯)। ইসলাম সর্বদা সুস্থ-সক্ষমতার ধারণা দেয়।
সুস্বাস্থের প্রতি ইসলামের বিশেষ দিকনির্দেশনাও রয়েছে। ইসলামে সবধরনের খেলাধুলোর সমর্থন না থাকলেও বিশেষকিছু খেলাধুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে সমর্থন করে। যেমন রণ নৈপুন্যের খাতিরে তীর নিক্ষেপ করা, বর্শা চালানো, দৌড় প্রতিযোগিতা দেয়া, ইত্যাদি। রাসুল সা. আফইয়া থেকে সানিয়াতুল বিদা অবধি দূরত্বের মাঝে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ঘোড়দৌড়ের অনুষ্ঠান করেছেন। উভয় স্থানের দূরত্ব ছিলো ছয় মাইল। এসব বিনোদনের মাধ্যমেই সুসাস্থ্য রক্ষা পায়। ইসলামে বিনোদন নিষেধ নয়। তবে তা হতে হবে ইসলামের সীমারেখার মাঝেই। যেমন ঈদানন্দ প্রকাশে রণকৌশল প্রদর্শন একটি ইসলামি ঐতিহ্য। আরবে এমন প্রদর্শনী প্রিয়নবী সা. পছন্দ করতেন। এমনকি রাসুল সা. হজরত আয়েশা রা. কে সঙ্গে নিয়ে এসব প্রদর্শনীতে উপস্থিতও হতেন।
দৌড় প্রতিযোগিতা, তীর নিক্ষেপ করা, সাঁতার কাটা, ইত্যাদিও ছিল রাসুল সা. এর নির্দেশিত বিনোদন। প্রত্যেক এমন জিনিস, যা আল্লাহর জিকির নয়, তা ক্রীড়া ও কৌতুকের অন্তর্ভুক্ত। তা থেকে বিরত থাকা চাই।
বর্তমানে প্রচলিত খেলাধুলোয় ইসলামি মূল্যবোধের প্রতিফলন প্রায়ই পরিলক্ষিত হয় না। নামাজের প্রতি অবহেলা, সময় ও অর্থের অপচয়, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, উল্কি আঁঁকা, ইত্যাদি অনর্থক কাজে ভরপুর। যা ইসলাম কখনোই সমর্থন করে না। এমনকি একজন মোমিনের জন্য এসব কাজ মোটেই শোভা পায় না। কেননা যেসব কাজকর্মের মাধ্যমে ফরজ লঙ্ঘন বা হারামে লিপ্ত হবার আশঙ্কা হয়, তা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম।