সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন ১২ এসএমই উদ্যোক্তা
সাইদ রিপন: জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই ) ভূমিকা শতকরা ১১ভাগ। উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল করতে খাতভিত্তিক অবদান আরও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
গতকাল রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে মার্কিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের মানবকল্যাণমুখী সংগঠন সিটি ফাউন্ডেশন ১২তম সিটি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে ৪ জন উদ্যোক্তাসহ ৬ জন বিজয়ী এবং উদ্যোক্তা বিভাগগুলোতে নির্বাচিত ৪ জন প্রথম রানার-আপ ও ৪ জন দ্বিতীয় রানার-আপকে পুরুস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরুস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তাফা কামাল। এছাড়া অর্থনীতিবীদ ড.ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এসকে সুর চৌধুরী অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির হাত ধরেই দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার নানা অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক বিনোয়োগ করছে।
মন্ত্রী বলেন, এসএমইখাতের বিকাশে আমাদেরকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান আরও বেশী প্রয়োজন। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরী করতে হবে। এসএমই খাতের বিকাশে প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিত করতে হবে। তিনি ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতসহ কয়েকটি দেশের জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে এসএমই খাতের অবদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এসএমই ফাউন্ডেশনে একটি স্বাধীণ গবেষণা কেন্দ্র থাকা প্রয়োজন। তিনি বলেন কাউকে বাদ রেখে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিকাশে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো এগিয়ে আসার আহবান জানান। তিনি বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কখনও ঋণ খেলাপী হয় না।এসএমই শিল্প বিকাশের মাধ্যমে টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা সহজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।বিভিন্ন ক্যাটাগরীর মধ্যে- শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন নওগাঁর শালুকার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, এতে তিনি সাড়ে ৪ লাখ টাকার পুরস্কার পান। এই বিভাগে প্রথম রানার-আপ হয়েছেন বগুড়া শেরপুরের মো.সাইদুজ্জামান সরকার এবং দ্বিতীয় রানার-আপ বরগুনা তালতলীর মো. আজিজুল হক সিকদার।
‘শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা’ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন মুন্সিগঞ্জ সদরের বজ্রযোগিনীর মো. রুমা আক্তার। তাকে সাড়ে তিন লাখ টাকার পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই বিভাগে প্রথম রানার-আপ হয়েছেন ঢাকা মোহাম্মদপুরের ফজিলাতুন নেছা এবং দ্বিতীয় রানার-আপ চট্টগ্রাম দামপাড়ার রুবামা শারমিন। শ্রেষ্ঠ তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাভার আশুলিয়া থেকে মো. রুবেল দেওয়ান। শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন সাতক্ষীরা শ্যামনগরের সায়মা খাতুন। এছাড়া শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন পিপলস্ ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি) এবং শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিভাগে বিজয়ী হিসেবে ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টার (ভার্ক) পুরস্কার লাভ করেন ।