চর ফ্যাশনের ২ স্কুল শিক্ষককে আসামি করায় শিক্ষক সমিতির প্রতিবাদ ও নিন্দা
এম আমির হোসেন , চরফ্যাশন : চরফ্যাশন উপজেলার ওচমানগঞ্জ ৩নং ওয়ার্ডের সেনা সদস্যের পুরুষাঙ্গ কর্তনের ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষককে মামলার আসামী করায় চরফ্যাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে। তারা অনতি বিলম্বে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবী জনিয়েছেন।
শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা ঘটনার মূল নায়ক তাদের বিচার হোক তা আমরা কামনা করি। ঘটনা স্থল থেকে ১০কি. দুরে চরফ্যাশন পৌর সভা ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও উত্তর শিবা সরাকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পলাশ চন্দ্র ও তার স্ত্রী দাস কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিলিমা রাণীকে মামলা আসামী করা হয়েছে। মামলায় ঘটনার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ১১এপ্রিল রাত ৯টায়। কিন্তু পলাশ চন্দ্র দাস আমাদের সাথে সমিতির একটি মিটিংয়ে ওই দিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চরফ্যাশন ফ্যাসন স্কয়ার ২য় তলায় শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে ছিল। তার স্ত্রী নিলিমা রাণীও পৌর সভার ৬নং ওয়ার্ডে নিজ বাসায় ছিল। কিন্তু এই দু‘শিক্ষক ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয় কিছুই জানেনা তাদেরকে মামলার আসামী করা হয়েছে। আমরা শিক্ষক সমাজ এই মামলা থেকে দু‘ স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অব্যহতির দাবী করছি। শিক্ষকদের আসামী করায় উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বিষয়টি নিয়ে চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ ম.এনামুল হকের সাথে স্বাক্ষাত করেছেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, চরফ্যাশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আঃ হাই, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম পালোয়ান, প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন, সদ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহবায়ক গোলাম আক্তার সেন্টু, সিনিয়র সহ-সভাপতি একে এম নজরুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক নান্টু ও বাবু ইন্দ্রজিত প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ১১এপ্রিল রাত ৯টায় সেনা সদস্য রাজিম ওচমানগঞ্জ ৬নং ওয়ার্ড নায়েবের পুল নামক সংলগ্ন পল্লী চিকিৎসক হরিষ চন্দ্র দাসের বাড়ীতে গেলে ঘরের ভিতরে পুরুাষাঙ্গ কর্তন করা হয় । সে বর্তমানে ঢাকায় সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ব্যপারে ছেলের বাবা আঃ মালেক বাদী হয়ে ১০জনকে আসামী করে চরফ্যাশন থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সম্পাদনা: শাহীন আলম