নিয়ম না মেনে পর্যটকদের সৈকতে গোসল, বাড়ছে দুর্ঘটনা
ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : বর্ষবরণের আনন্দে মাতোয়ারা পর্যটকরা নিজের জীবনকে বিদায় দেয়ার উপক্রম অবস্থায় চলে যাচ্ছেন কক্সবাজার সৈকতে। সাগরে গোসলে নিদিষ্ট কিছু নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না কেউ।
ফলে সৈকতে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে দূর্ঘটনা। লাইফগার্ড কর্মীদের দাবি, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পর্যটকদের আকুতি মিনতি করে বলা হলেও কেউ শুনেন না কথা , উল্টো বকাঝকা করেন । এ অবস্থায় নির্দিষ্ট জোনে গোসল এবং জোয়ার ভাটার নির্দেশিকা মেনে পর্যটকদের গোসলসহ সব ধরনের কাজে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ ।
পহেলা বৈশাখ ও তার পরের দিন সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, দিনভর সেখানে বেশকিছু পর্যটক সাগরে গোসল করেছেন। এরমধ্যে পুরুষ পর্যটকের পাশাপাশি নারী -শিশুও রয়েছে। এসময় বেশ কয়েকজন স্থানীয় লোকজন বলছেন, ভর সন্ধ্যায় সাগরে গোসল করাটা খুবই ঝুকিপূর্ণ, এ বিষয়ে তাদের সতর্ক করা দরকার। পাশে থাকা এক লাইফগার্ড কমী বলেন, আমি বেশ কয়েকবার উনাদের মানা করেছি, কিন্তু উনারা কথা শুনছেন না। এখন ভাটার টানও শুরু হয়েছে, তার উপর সন্ধ্যা হয়ে আসছে, আর কিছুক্ষণ পরেই অন্ধকার হয়ে আসবে। তবুও উনারা সাগর থেকে উঠছেন না। লাইফগার্ড কর্মী আরো বলেন, কিছুকিছু পর্যটকদের মানা করেও রাখা যায় না। এদিকে আরেক বীচ কর্মী নাছির উদ্দিন বলেন ,পর্যটকরা সাগরে গোসল করার নিয়ম মানছে না। উনারা যদি নিয়ম মেনে সাগরে গোসল করে তাহলে নিজেরাই বিপদ থেকে রক্ষা পেত। আমরা ছাড়া ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক মাইর্কিং করে এবং টহল দিয়ে তাদের সচেতন করছে তবুও অনেকে নিয়ম না মেনে গোসল করতে নেমে পড়ে। আমরা বলি গভীর পানিতে না যেতে উনারা শখের বসে গভীর পানিতে গিয়ে পড়ে অনেক সময় বড় ঢেউ আসলে সেটা আর সামাল দিতে পারে না। তখন বিপদ ঘটে যায় ।
কয়েকজন ছাতা ব্যবসায়ি বলেন, পর্যটকদের যারা যে হোটেলে থাকে তারা সে হোটেলের কাছের বীচেই গোসল করছে। যাতে তারা সহজে হোটেলে আসা যাওয়া করতে পারে, তবে সেটা উচিত নয়। যেমন কলাতলী বীচ দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক গোসল করে আমরা নিজেরাই তাদের সতর্ক করে বলি, গোসল করতে হলে মূল বীচে যেতে, কিন্তু উনারা শুনেনা। সম্পাদনা: শাহীন আলম