পুঁজিবাজারে বড় দরপতন আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা
মাসুদ মিয়া: দেশের পুঁজিবাজার গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার বড় ধরনের দরপতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এই নিয়ে ৮ কার্যদিবস ধরে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এদিকে টানা দরপতনের কারনে আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।আট কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডিএসইএক্স মূল্যসূচক কমেছে ১৮৪ পয়েন্ট। যাতে সূচকটি প্রায় দেড় মাসের মধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থায় নেমে এসেছে। গতকাল লেনদেনের মাধ্যমে এ পতন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৪ এপ্রিল ডিএসইএক্স মূল্যসূচক ছিল ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্ট। যা সূচকটির যাত্রার প্রায় ৪ বছর আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। তবে এরপর থেকে সূচকটি টানা ৮ কার্যদিবস ধরে কমছে। যা গতকাল লেনদেন ৫৩ পয়েন্ট কমে দাড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৯৩ পয়েন্টে। এ হিসাবে সূচক কমেছে ১৮৪ পয়েন্ট। একইসঙ্গে সূচকটি গত ৭ মার্চ এরমধ্যে সর্বনিন্ম অবস্থানে নেমে এসেছে।
গতকাল ডিএসইতে ৭২৪ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন হয়েছিল ৫৯৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার। এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১২৮ কোটি ৪২ লাখ টাকার বা ২১.৫৫ শতাংশ।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানির মধ্যে ৯০টি বা ২৭.৬১ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অন্যদিকে দাম কমেছে ১৯৬টি বা ৬০.১২ শতাংশ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি বা ১২.২৭ শতাংশ কোম্পানির।টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৪৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইভিন্স টেক্সটাইল। এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসসিএক্স মূল্যসূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০৪৯৮ পয়েন্টে।