প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ : মুহিত
হাসান আরিফ : আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এবারে বাজেট ঘাটতি আমরা বেশি রাখছি। বেশি রাখলেও কোনো লাভ নেই, পরে বেশি হয় না। বাজেট ঘাটতি ৫ দশমিক ৪ হতে পারে। এর ফলে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে।গতকাল রোববার সচিবালয়ে আর্থিক সমন্বয় কমিটি ও বাজেট মনিটরিং কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ কথা বলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। যা চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরও বিদ্যমান রয়েছে। আর বাজেটের মোট আকার ধরা হতে পারে ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৭১ কোটি টাকার। চলতি বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। তবে শেষ মুহুর্তে এসে এ আকার কমবেশি হতে পারে।
জানা গেছে, এবারের বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানব উন্নয়ন, বিদ্যু-জ্বালানি, অবকাঠামো এবং সাইবার নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ইতোমধ্যে জানিয়েছেন চলতি বাজেট হবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের প্রথম ধাপ। এজন্য ত্রিবার্ষিক বাজেট পরিকল্পনা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। এদিকে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী আগামী বাজেটে ভর্তুকি কমিয়ে আনার কথা ভাবছে সরকার। অবশ্য চলতি বাজেটেও আগের তুলনায় ভর্তুকি কমানো হয়েছে। আগামী বছর থেকে কৃষি খাত বাদে অন্য সকল খাত থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। এছাড়া কৃষিখাতে সরাসরি অর্থ ভর্তুকি না দিয়ে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি সরঞ্জাম সরবরাহের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় ব্যাংকিং খাতের ভর্তুকি পুরোপুরি তুলে নিতে বলা হয়েছে। আইএমএফ বলছে করের টাকায় দিয়ে প্রতি বছর ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতির পূরণের অর্থ দেওয়াটা অযৌক্তিক। এতে যেমন সরকারি অর্থের অপচয় ঘটে। তেমন ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি উৎসাহিত হয়। যা এ খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।
জানা গেছে, আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। সরকার আশা করছে এ আইন কার্যকর হলে রাজস্ব আদায় অনেক বেড়ে যাবে। এর ফলে বাজেটের অর্থায়ন নির্ভরতা কমবে। এজন্য আগামী বছর যে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে তা চলতি বছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬১ হাজার ৫১০ কোটি টাকা বেশি। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে এনবি আরের মাধ্যমে আয় ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩৬ হাজার ২০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ১০ দশমিক ৬ শতাংশ।
অন্যদিকে গতকাল বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান এডভোকেট লুৎফর রহমান অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে তিনি অভিনন্দ জানান। এ সময় সিলেট জেলার উন্নয়নের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ইত্যাদি বিষয়ে মত বিনিময় করেন এবং এসব উন্নয়নকে সর্বো”চ অগ্রাধিকার দিয়ে একযোগে কাজ করা।