শ্বাসরোধে ও পিটিয়ে দুই গৃহবধূকে হত্যা
পাবনা ওলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নে পারিবারিক কলহের জের ধরে আসমা-উল-হুসনা নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। রোববার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের পলোয়ান বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ আসমা উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। নিহত গৃহবধূ আসমা নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের গোবিন্দের গ্রামের প্রবাসী হোসেন আহম্মদের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বেল্লাল হোসেন লিটনের সঙ্গে বেগমগঞ্জ উপজেলার আমান উল্যাহপুর ইউনিয়নের গৌবিন্দের গ্রামের সৌদি প্রবাসী হোসেন আহম্মদের মেয়ে কলেজ ছাত্রী আসমা-উল-হুসনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামী লিটনের সঙ্গে আসমার বনিবনা হচ্ছিলো না। গৃহবধূর আসমা-উল-হুসনার মা সেলিনা আক্তারের অভিযোগ তার মেয়েকে স্বামী লিটন, দেবর আব্দুল্যাহসহ শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছে। নিহতের চাচা মো. সহিদ একই অভিযোগ করে বলেন, তার ভাতিজীকে হত্যা করে মরদেহ বসতঘরের ভেতর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মেলকাম ডি সিলভা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে পাবনার প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার বুদেরহাট এলাকায় নুরুন্নাহার (২৬) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী নুরুল ইসলামকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নুরুন্নাহার পাবনার ফরিদপুর উপজেলার দত্তপুঙ্গলী গ্রামের নবাব আলীর মেয়ে। তিনি দুই মেয়ে সন্তানের জননী ছিলেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ৯ বছর আগে একই গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন ব্যাপারীর ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে নুরুন্নাহারের বিয়ে হয়। সম্পাদনা : শাহীন আলম