জঙ্গিদের প্রশ্রয় ও অর্থদাতাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে : আইজিপি
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, এক শ্রেণির মানুষ ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছে। তারা জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং জঙ্গিবাদে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সময়মতো প্রচলিত আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল রোববার পুলিশ সদর দফতরে সম্প্রতি জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে নিহত ও আহত পুলিশ সদস্যদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আইজিপি।
শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিবাদ ধর্মের কারণে হচ্ছে না। ইসলামে কোথাও জঙ্গিবাদ নেই, যা আলেম-ওলামারও বলেছেন। এ দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা বা মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না। সম্প্রতি পবিত্র কাবা শরিফ ও মসজিদে নববির খতিবরা এ দেশে এসেছেন। তারাও বলেছেন যে ইসলামে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।
তিনি আরও বলেন, কিছু রাজনৈতিক নেতা দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে পুলিশের জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বুঝে বা না বুঝে দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা সংগঠনের এ জাতীয় বক্তব্য জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করবে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চালানো অভিযান নিয়ে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে পুলিশের কাছে এসেই উত্তর জেনে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চালানো প্রতিটি অভিযানে পুলিশ সফল দাবি করে শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াই আর দশটি প্রথাগত অপরাধীদের বিরুদ্ধে চালানো লড়াই থেকে ভিন্নতর। আমরা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করে যাচ্ছি। যারা জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সময়মতো তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরে পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিলেটে জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানের সময় নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা চৌধুরী মো. আবু কয়সর ও মো. মনিরুল ইসলামের স্বজনদের হাতে আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। দুই পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ লাখ করে ৪০ লাখ এবং সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ লাখ করে ৮ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়। এ সময় নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের স্বজনদের সম্মাননাও দেওয়া হয়। সম্পাদনা: এনামুল হক