রফিক আহমেদ : সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, এদেশের সবকিছুই ক্ষমতার ঊর্ধ্বেই চলে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর শেষ কথাই হচ্ছে সবকথা। তিনি না চাইলে কোনো অবস্থাতেই কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
গতকাল রোববার সকাল ১০টায় আদর্শ নাগরিক আন্দোলন-এর ১ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘জাতীয় নির্বাচন : নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫ জানুয়ারির আগে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সাহস থাকলে সেই ঘোষণা আবারও দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি বলেন, ৫ জানুয়ারির সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়সহ বিরোধী দলের নেত্রী যে মন্ত্রণালয় চাইবে সেই মন্ত্রণালয় দিতে প্রস্তুত। কিন্তু সেদিন তৎকালীন বিরোধী দল নেতা বেগম খালেদা জিয়া না না বলেছিলেন। আজকে তার মাশুল জনগণকে গুনতে হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের নিজের অস্তিত্ব বলে কিছু নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রেসক্রিপশনেই চলেন। নিজের স্বাতন্ত্র যে স্বকীয়তা রয়েছে এবং স্বাধীনতা রয়েছে তা তিনি কখনোই প্রয়োগ করবেন না। এর আগেও আমরা আরেকটি নির্বাচন কমিশনকে দেখেছি তার চেয়ে ইনি খুব একটা ভাল হবেন বলে আমি বিশ্বাস করি না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে না পারলে আবারও একটি ভোটারবিহীন নির্বাচনের আশংকা করেন তিনি।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিরোধীদলের নেতাকে অহমিকা ছাড়তে হবে। জনগণের ভাষা বুঝে আন্দোলনে সকলকে তিনি এক প্লাটফর্মে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত থেকে আমাদের জন্য কি এনেছে জাতি জানতে চায়। তিনি সবকিছু যে দিয়ে এসেছেন তা দেশবাসী দেখেছে। দেশের মানুষের জন্য তার দরদ থাকলে দেশে গুম-খুন এভাবে চলত না।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশের দুই নেত্রী তাদের নির্দেশ ছাড়া কেউ জোরে কাশিও দেন না। সেখানে আমাদের আস্ফালন হওয়ার কিছু নেই। আমি অনুষ্ঠানে আসার আগে বিষয়টি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। সেখানে ৫ শত জন মন্তব্য দিয়েছে। কেউ বিশ্বাস করে না বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।
আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে ও বাহারুল ইসলাম ইঊনুসের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ অ্যাডভোকেট আল-আমিন, সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল ইসলাম, সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি, আবদুল্লাহিল মাসুদ, মো. এজাজ হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে ও ফুলের তোড়া উপহারের মধ্যে দিয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। সম্পাদনা: এনামুল হক