খেলাপি ঋণে শীর্ষে ২০ ব্যাংককে কঠোর হওয়ার নির্দেশ
জাফর আহমদ: খেলাপি ঋণগ্রস্থ শীর্ষ ২০ ব্যাংককে ঋণ আদায়ে কঠোর হতে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল সোমবার মতিঝিলে খেলাপি ঋণের শীর্ষে ২০ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাদের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। যে সব ব্যাংককে পরামর্শ দেওয়া হয় সে ব্যাংক হলোÑ স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ওরি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ফার্মারস ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া ও ব্যাংক অব সিলন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি ২০টি ব্যাংকের ঋণ আদায়ের অগ্রগতি কম। তাই এসব ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক জরুরি বৈঠক করে। বৈঠকে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, ঋণভারে জর্জরিত এ সব ব্যাংককে খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈঠকে বলা হয়, খেলাপি ঋণের বর্তমান এ অবস্থা চলতে থাকলে ব্যাংকগুলোর ক্যাপিটাল লস বা মূলধন ঘাটতি হতে পারে। এর ফলে ব্যাসেলস-৩ বাস্তবায়ন থেকে পিছিয়ে পড়বে ব্যাংকগুলো। তাছাড়া তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে।
ডেপুটি এস কে সুর চৌধুরী বলেন, ঋণ আদায়ের অগ্রগতি কম এমন ২০টি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। ব্যাংকগুলো যাতে হুমকির মধ্যে না পড়ে সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ব্যাংকগুলোর শ্রেণিকৃত ঋণ আদায়ের উপর জোর দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ঋণ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে কয়েকটি বিষয়ে নজরদারি করতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে যেসব ব্যাংক ঋণ আদায়ের সক্ষমতায় পিছিয়ে আছে তাদের ঋণ আদায় ইউনিট জোরদার করতে হবে।
এছাড়া যেসব ঋণের বিপরীতে মামলা অব্যাহত আছে সেগুলোর জন্য অর্থ ঋণ আদালতের অভিজ্ঞ আইনজীবী দ্বারা মামলাগুলো পরিচালিত করতে হবে। পাশাপাশি ঋণ আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও প্রত্যেক কর্মকর্তাকে এ লক্ষ্যমাত্রার আওতায় আনতে হবে। লক্ষ্য পূরণে সফল কর্মকর্তাকে ইনসেনটিভ বা পুরস্কৃত করার বিষয়েও নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে প্রতি তিন মাস অন্তর ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় অগ্রগতি প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংককে জানাতে হবে। এর মধ্যে শ্রেণিকৃত ঋণ বা খেলাপি ঋণ, আদায়কৃত ঋণ, ঋণ অবলোপন বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্পাদনা: শিমুল মাহমুদ