জলবিদ্যুতে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর ভুটান সফরে ছয় চুক্তি ও সমঝোতার সম্ভাবনা
তরিকুল ইসলাম সুমন : ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে সম্মতি জানিয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভুটান সফরকেন্দ্র করে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ভুটান থেকে আমরা ভারতের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ আমদানি করব। কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা এখন বলা মুশকিল। তবে তা ১০০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি হতে পারে।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, নেপালে অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ বিমসটেক (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) শীর্ষ সম্মেলনে এ বিষয়ে একটি স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, থিম্পুতে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুকের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা। এছাড়া থিম্পুতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অব অটিজম শীর্ষক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের আমন্ত্রণে আগামী ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক হবে ১৮ এপ্রিল। এ সময় নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবিদ্যুৎ, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেক্টিভিটি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তারা।
শেখ হাসিনার ভুটান সফরে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের সম্ভাবনা আছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উল্লেখ করেন তিনি।
চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো হলোÑ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার দ্বৈতকর পরিহার, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যমান, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা, ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক এবং ভুটান কর্তৃক বাংলাদেশ দূতাবাস নির্মাণে জমি বরাদ্দের চুক্তি। সম্পাদনা: এনামুল হক