ওমর শাহ : যারা ধর্মের নামে মানুষ হত্যা করে তারা মুসলমান নয় বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের নারী শিক্ষা আন্দোলনের কর্মী, নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই।
সম্প্রতি মালালা ইউসুফজাইকে কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। সনদ হস্তান্তর উপলক্ষে টরেন্টোর পিচ টাওয়ারে এক অনুষ্ঠানে মালালা ইউসুফজাই এ কথা বলেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এই সনদ তুলে দেন। এই অনুষ্ঠানে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়ার দিক থেকে মালালা সর্বকনিষ্ঠ।
পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে জাস্টিন ট্রুডোর উদ্দেশে মালালা বলেন, ‘আমি কানাডার সরকারকে ধন্যবাদ জানাই নারী শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি মানবতা, শরণার্থী, নারীদের জন্য ক্যানাডার যে অবস্থান তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।’ নারী অধিকার, লিঙ্গ বৈষম্য ও শরণার্থীদের জন্য অবদান রাখায় ট্রুডোর প্রশংসা করেন মালালা।
কানাডার পার্লামেন্টে সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে বক্তব্য রাখেন মালালা। বক্তব্যে মালালা বলেন, ‘২০১৪ সালে পার্লামেন্ট হিলে যে হামলা চালিয়েছিল সে নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করেছিল, কিন্তু তার সঙ্গে আমার বিশ্বাস মেলে না। বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলিম, যারা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে তাদের বিশ্বাসের সঙ্গেও ওই ব্যক্তির বিশ্বাস মেলে না। কেননা ইসলাম ক্ষমা ও শান্তির প্রতীক। আমি একজন মুসলিম এবং আমি বিশ্বাস করি যদি তুমি ইসলামের নামে হাতে অস্ত্র তুলে নাও এবং অসহায়-নিষ্পাপ মানুষদের হত্যা করো তুমি কখনোই একজন মুসলমান হতে পারো না।’
ট্রুডোর প্রসঙ্গে মালালা মজা করে বলেন, ‘শুনেছি তিনি যোগ ব্যায়াম করেন, শরীরে ট্যাটু আঁকেন এবং বিশ্বের অনেক মেয়েই এই তরুণ রাষ্ট্র প্রধানের জন্য পাগল। এখানে আসার পর আমি সেটার প্রমাণও পেয়েছি। কেননা আমি কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছি বলে আমার সঙ্গে দেখা করতে বা হাত মেলাতে মানুষ যতটা না আগ্রহী তার চেয়ে বেশি আগ্রহী ট্রুডোকে দেখতে এবং তার সঙ্গে ছবি তুলতে। ডিডব্লিউ। সম্পাদনা: শিমুল মাহমুদ