ইসমাঈল হুসাইন ইমু ও মহিব্বুল আরেফিন (রাজশাহী): মালদ্বীপের নাগরিক রাউধা আথিফের লাশ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী মেট্রোপলিটন আদালত-১ এর বিচারক মাহবুবুর রহমান সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। লাশের পুনরায় ময়নাতদন্তসহ নতুন করে আবারও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল হাশেম জানান, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসমাউল হোসেনের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। তবে কবে লাশ উত্তোলন করা হবে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থেকে রাউধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে রাউধা আত্মহত্যা করেন। তবে পুলিশ পৌঁছানোর আগেই তার সহপাঠীরা ঝুলন্ত রাউধার মরদেহ নামিয়ে ফেলে। গত ৩০ মার্চ রাউধার লাশ দেখতে রাজশাহীতে আসেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত আয়েশাথ শান শাকির এবং তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। ৩১ মার্চ মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রাউধা আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ করে বোর্ড ১৫ এপ্রিল ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এর আগে রাউধার মৃত্যুর ১২ দিন পর গত ১০ এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ। রাজশাহীর আদালতে দায়ের করা ওই মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের বিচারক এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। সেই অনুযায়ী হত্যা মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। এরপর মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।
মালদ্বীপের মেয়ে রাউধা আথিফ রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি পড়ালেখার পাশাপাশি মডেলিং করতেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে বিশ্বখ্যাত ‘ভোগ’ ম্যাগাজিনের ভারতীয় সংস্করণেও তিনি মডেল হয়েছিলেন। ওই সংখ্যার প্রচ্ছদে আরও পাঁচ মডেলের সঙ্গে রাউধাও ছিলেন। সম্পাদনা: এনামুল হক