নেতিবাচক ধারণা থেকে উত্তরণে সহযোগিতা চায় ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশন
জাফর আহমদ : বিমা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থেকে উত্তোরণে সহযোগিতা চায় ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)। আজ দুপুরে পুরানা পল্টনে সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানান। বিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়, বিমা কোম্পানির দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট অবদান রাখার সুযোগ থাকলেও একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অপর দিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা বিদ্যমান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটো, পরিচালনা পরিষদ সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, নূরুল আলম, মনিরুল হক (পাবেল) প্রমুখ। আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে গতকাল দুপুরে পল্টনে সংগঠনের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরা হয় বিআইএ এর পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো, বিমা কোম্পানির উপর করপোরেট টেক্স ২৫ শতাংশ করা, জীবন বিমা কোম্পানির পলিসির ডিপোজিট হোল্ডারদের মুনাফার উপর ৫ শতাং গেইন ট্যাক্স এবং বিমা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের অতিরিক্ত ব্যয়ের উপর আরোপিত কর প্রত্যাহারসহ আসছে বাজেটে ছয় ধরনের কর সুবিধা চায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন(বিআইএ)।
অন্যান্য দাবিগুলো হলো, সংবাদ সম্মেলনে বিমা এজেন্ট কমিশনের বিপরীতে উৎসে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও এজেন্টদের উৎসে কর প্রত্যাহার এবং করমুক্ত ডিভিডেন্ট আয়ের সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা। বাজেটে বিমা খাতে এই ছয় ধরনের কর সুবিধা দেওয়া হলে দীর্ঘ দিন ধরেই অবহেলিত দেশের বিমা খাতের উন্নয়ন এবং জনপ্রিয়তা বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ কবির হোসেন।
তবে তার অভিযোগ ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর বাজেটের আগের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এনবিআর, অর্থমন্ত্রনালয় এই দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষন করেন। এগুলো কমানো যৌক্তিবলে মনে করেন। কিন্তু কোনো সময় তা বাস্তবায়ন করনে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিমা খাত। এই বছর অর্থমন্ত্রী, সচিব এবং এনবিআরএ’র চেয়ারম্যানের কাছে এই প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছেন তারাও নীতিগতভাবে কর কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, পৃথিবীর প্রায় সব দেশের অর্থনীতিতে বিমা খাত বড় ধরনের ভুমিকা রাখে। সেই দেশের জিডিপিতে অবদান রাখে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত।