যুক্তরাষ্ট্রে বিমান পাঠানোয় রাশ টানল এমিরেটস
ডেস্ক রিপোর্ট : মধ্য-প্রাচ্যের বৃহত্তম বিমান সংস্থা এমিরেটস যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে কম বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারণ হিসাবে এমিরেটস বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসলি–সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের ভ্রমণকারিদের নিষিদ্ধ করার ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচেষ্টা ও আচমকা উচ্চতর মার্কিন নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকাল
দুবাই সরকারের এই বিমান সংস্থার সিদ্ধান্ত সত্যিই প্রশংসনীয়। চলতি বছরে ট্রাম্পের এই নিয়মের জেরে সম্প্রতি দুবাইয়ের বিমান সংস্থাগুলি আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। ইতোমধ্যেই ল্যাপটপ ও অন্যান্য ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক মাধ্যম নিয়ে যাওয়ার ওপর দুবাই সহ ১০টি মুসলিম প্রধান দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এমিরেটস হাব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম প্রধান কেন্দ্র। কিন্তু ছয়টি মুসলিম প্রধান দেশের ভ্রমণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িকভাবে প্রবেশ নিষেধ করার পরেই এমিরেটস বিমান কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেন। ট্রাম্পের নয়া ভিসা বিধি অনুযায়ী ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ভ্রমণার্থীদের ওপর সাময়িকভাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইরাক ভ্রমণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তা আদালতের নির্দেশে কিছুদিনের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এমিরেটস জানায়, তাদের এই সিদ্ধান্ত ১২টি মার্কিন গন্তব্যস্থলে ভারী প্রভাব ফেলবে, যা আগামী মাস থেকেই লক্ষ্য করা যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নয়া ভিসা নীতি, উচ্চতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বিমানের মধ্যে বৈদুত্যিক বস্তুর উপর নিষেধাজ্ঞা এই তিনটি পদক্ষেপ যাত্রী স্বার্থ ও বিমানে চড়ার ওপর যাত্রীর চাহিদার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। দুবাই হাব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ১২৬টি বিমান থেকে কমিয়ে তা ১০১টি বিমানে নামিয়ে আনা হয়েছে। বোস্টন, লস অ্যাঞ্জেলস ও সিয়াটলে প্রতিদিন দু’বারের বদলে একবার বিমান যাবে বলে এমিরেটস সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ