মুরাদনগরে জোড়া খুনের ৩ আসামি আত্মসমর্পণের পর কারাগারে
এম কে আই জাবেদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা): কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রহিমপুর গ্রামের ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন হত্যা মামলার আরো তিন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম) আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আসামিরা হলেন- আলাউদ্দিন, শাহালম ও আবু মুসা। এর আগে গত শনিবার এ মামলায় আনিস মিয়া ও খোকন নামের দু’আসামীকে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। তাদেরকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে এ মামলার এজাহার নামীয় আরো ১৬ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ও মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ ফয়সাল জানান, রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আলা উদ্দিন, শাহালম ও আবু মুসা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে বিচারক ফাহাদ বিন আমীন আমিন চৌধুরী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রহিমপুর গ্রামের আশরাফ মেম্বার ও আনিস গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত কয়েকদিন পূর্বে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলণের জন্য আশরাফ মেম্বার গোমতী নদীতে ড্রেজার বসালে আনিস গ্রুপের লোকজন এতে বাধাঁ দেয়। খবর পেয়ে আশরাফ মেম্বারের লোকজন মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে আসলে অনুমান রাত ১১টায় উভয় গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে রামদার কুপে ফারুক মিয়া (২৯), সাইদুল হোসেন (২২), আশরাফ মেম্বার (৩২) ও ইয়ামিন মিয়াসহ (২০) ১০/১২ জন গুরুতর আহত হয়। এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে।সম্পাদনা: মুরাদ হাসান