মেক্সিকোতে মাদক সহিংসতায় নিহত ৩৫
ডেস্ক রিপোর্ট : সাপ্তাহিক ছুটির সময় মেক্সিকোজুড়ে মাদক সহিংসতায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। রোববার দিন শুরুর প্রথম কয়েক ঘন্টা থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় সিনালোয়া রাজ্যে ১২ জন নিহত হয় বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা। বিডিনিউজ
গত বছর সিনালোয়া কার্টেলের (মাদক অপরাধী চক্র) বস জোয়াকুইন ‘এল চাপো’ গুজম্যানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে রাজ্যটিতে মাদক চক্রগুলোর মধ্যে লড়াই বৃদ্ধি পায়। জানুয়ারিতে ‘এর চাপো’কে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের পর লড়াই আরো তীব্র হয়ে ওঠে। এছাড়া শনিবার মেক্সিকোর পশ্চিম উপকূলীয় রাজ্য মিচোয়াকানের পার্বত্য এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক চক্রগুলোর মধ্যে গোলাগুলিতে নয়জন নিহত হয় বলে রোববার জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলিরা।
এক বিবৃতিতে রাজ্য কৌঁসুলির দপ্তর জানায়, চুরুমুকো পৌরসভার একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় গোলাগুলির ওই ঘটনাটি ঘটে; আটটি লাশ এলাকটির প্রধান সড়কে পড়ে ছিল, অপর লাশটি নিকটবর্তী সিয়েরা এলাকায় পাওয়া যায়। মিচোয়াকান ও প্রতিবেশী গুয়েরেরো রাজ্যে হেরোয়েন তৈরির কাঁচামাল আফিম উৎপাদনের জন্য পপির চাষ করা হয়। এসব পপি খেতের দখল নিয়ে মাদক চক্রগুলোর মধ্যে প্রায়ই প্রাণঘাতী বন্দুক লড়াই শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রে হেরোয়েনের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদনের এই এলাকাগুলোতেও সংঘাত তীব্র হয়ে উঠেছে।
রোববার গুয়েরেরোর অন্য একটি এলাকায় গুলিবিদ্ধ আরো আটটি লাশ পাওয়া যায়, পাশাপশি মেক্সিকো উপসাগরের তীরবর্তী রাজ্য ভেরাক্রুজে আরো ছয়টি লাশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
২০১১ সালের পর মেক্সিকোতে সহিংসতা কিছুটা হ্রাস পেলেও পরিস্থিতি ফের শোচনীয় হয়ে উঠেছে। চলতি বছরের শুধু মার্চেই দুই হাজার ২০টি খুনের ঘটনা পুলিশের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়েছে। ২০১১ সালের জুনের পর এক মাসে এটিই সর্বোচ্চ খুনের ঘটনা। রক্তপাত বৃদ্ধি রোধে ব্যর্থতার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট এনরিকে পেনা নিয়েতো ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে আছেন। রাজ্যগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহিংসতা কবলিত গুয়েরেরো; এরপরই আছে মিচোয়াকান, সিনালোয়া ও ভেরাক্রুজ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ