৫ মে-এর মতো পরিস্থিতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে
ড. অজয় রায়
সরকার তো হেফাজতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। পুরোটা না করলেও কিছুটা হলেও করেছে। হেফাজতের নির্দেশমতো পাঠ্যপুস্তকে ২৬-২৭টি বই পরিবর্তন করেছে। এগুলো নিয়ে আমরা অনেক কথা বললেও এখনো এগুলো প্রত্যাহার করেনি। সরকার এবং হেফাজতের মধ্যে একধরনের বোঝাপড়া চলছে। হেফাজতিরা অবশ্যই এই সুযোগটা নিচ্ছে। তাদের নির্দেশেই পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কওমি শিক্ষাকে সর্বোচ্চ মান দেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো শিক্ষাব্যবস্থাকেই জাতীয় শিক্ষানীতির বাইরে রাখতে চাই না। কিন্তু কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিতে হলে আগে তাদের মূলধারায় নিয়ে আসতে হবে। তারা নিজস্ব ধারায় চলবে, তা হতে পারে না। তাদের দেশের শিল্প-সংস্কৃতি মানতে হবে। সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাবে, তবু সরকার নতিস্বীকার করে তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। কওমিদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক কিন্তু তাদের সিলেবাস, কারিকুলাম পরিবর্তন করা হোক। তাদের মূল চিন্তাধারার পরিবর্তন করা হোক। বাংলাদেশ হচ্ছে একটা অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটা তাদের স্বীকার করে নিতে হবে। ধারণাগুলোকে আগে পরবির্তন করা দরকার, তারপরে তাদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক। কিন্তু তা না করে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। বেগম মতিয়া চৌধুরী, তাকে অগ্নিকন্যা বলা হয়। সেই মানুষটি সম্প্রতি বলেছেন, আমরা রাজনীতি করি, ওদেরকে তো আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে। এটা কি ধরনের কথা? সরকারের এমন মনোভাবের কারণেই হেফাজত এ ধরনের কথা বলতে পারছে। এদেরকে আসকারা দিলে এ রকম করবেই। সরকারের আসকারার কারণেই তারা আবার ঢাকায় একটা শোডাউন করার পরিকল্পনা করছে। হেফাজতের নেতাকর্মীরা এখন এই আসকারা আরও উৎসাহিত হয়েছে। সরকার যদি দুর্বলতা প্রকাশ করে তাহলে আবার ৫ মের মতো একটা পরিস্থিতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান