সারাদেশে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হবে : প্রধানমন্ত্রী
সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে দেশে ১৬০ মিলিয়ন লোকের মধ্যে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মুসলিম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারই উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করবেন। মন্ত্রী বলেন, এই মসজিদে আলাদাভাবে নারী পুরুষ উভয়েই নামাজ পড়তে পারবে। এটি দেশের ইতিহাসে ধর্মীয়খাতে এককভাবে সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প।
গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ১৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০ হাজার ৪০২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৯ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১০ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব, জিইডির সদস্য শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সংবাদ ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দেশের যুব সামাজকে তথ্য প্রযুক্তিতে আরো জ্ঞানী করতে প্রত্যেক জেলায় আইটি পার্ক নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও এলএনজি টার্মিনাল সমুদ্রে নির্মাণ না করে স্থলপথে করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নগর দারিদ্র সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন না দিয়ে ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটি বিদেশি অর্থায়নে করতে চান। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশে বস্তির সংখ্যা বাড়তে দেওয়া যাবে না। বস্তিবাসীদের জন্য সুউচ্চ ভবন নির্মাণ করতে হবে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। এর জন্য ব্যয় হবে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। জেলা পর্যায়ে আইটি প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৯৬ কোটি টাকা। পটুয়াখালী-গোপালগঞ্জ ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন এবং গোপালগঞ্চ ৪০০ কেভি গ্রীড উপকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি টাকা। কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু হতে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এর জন্য ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি টাকা। থানচি-রিমাকরি-মদক-লিকরি সড়ক নির্মাণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। কক্সবাজার-টেকনাফ-মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প তৃতীয় পর্যায় প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। সিলেট শহর বাইপাস-গ্যারিসন লিংক টু শাহ পরাণ সেতুঘাট সড়ক ৪ লেন মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩৬ কোটি টাকা। খালিশপুর-মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-যাদবপুর মহাসড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি টাকা। সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭ কোটি টাকা। ঢাকা শহরে ৩টি পাইকারি কাঁচা বাজার নিমার্ণ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। থ্রিজি প্রযুক্তিকরণ চালু এবং ২ দশমিক ৫ জি নেটওয়াক সম্প্রসারণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৬৭৫ কোটি টাকা। সম্পাদনা : হুমায়ুন কবির খোকন